এও সম্ভব! বছরের পর বছর শুধু চা পান করেই বেঁচে আছেন এই মহিলা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২১ আগস্ট: বিশ্ব জুড়ে চায়ের শৌখিন মানুষের অভাব নেই। চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি পান করা পানীয়। কিন্তু একজন মানুষ সারাজীবন শুধু চা পান করেই বেঁচে থাকতে পারে, এমন কথা ভেবেছেন কখনও? হ্যাঁ, এটাও সম্ভব। আজ এই প্রতিবেদনে এমন এক মহিলার সম্পর্কে জেনে নিন, যিনি শুধুমাত্র চা পান করে বেঁচে আছেন।
চা প্রেমীদের প্রায় সব জায়গায় পেয়ে যাবেন। তবে, ছত্তিশগড়ের এক মহিলা গত ৩৮ বছর ধরে শুধুমাত্র চা পান করে বেঁচে আছেন। শুধু তাই নয়, চা পান করে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থও। গ্রামের লোকজন তাকে চা-ওয়ালি চাচি বলে ডাকেন।
তথ্য অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার বারদিয়া গ্রামের ৪৯ বছর বয়সী পিল্লি দেবী ১১ বছর বয়সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় খাবার খাওয়া ও জল পান বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ১১ বছর বয়সে ওই মহিলা খাওয়া-দাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওই মহিলা প্রতিদিন সূর্যাস্তের পরে একবার কালো চা পান করেন। যদিও প্রথমে পিল্লি দুধ ও চায়ের সাথে বিস্কুট এবং রুটি খেতেন, তারপরে তিনি সূর্যাস্তের পর দিনে একবার শুধু কালো চা পান করতে শুরু করেন। পরিবারের লোকজন চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি সুস্থ আছেন এবং কোনও রোগে ভুগছেন না।
এখন প্রশ্ন হল, একজন মানুষ কী শুধু চা পান করে বেঁচে থাকতে পারেন? কোরিয়া জেলা হাসপাতালের ডা. এস কে গুপ্তা কয়েক বছর আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ বিষয়ে বলেছিলেন, মানুষের পক্ষে শুধু চায়ের ওপর টিকে থাকা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এটা আশ্চর্যজনক, যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, শুধুমাত্র চায়ের ওপর নির্ভর করে কোনও মানুষ এত বছর বাঁচতে পারে না। তিনি বলেন, 'নবরাত্রির সময় মানুষ যখন ৯ দিন উপবাস করেন, সেটা ভিন্ন কথা। কারণ এটা কয়েক দিনের ব্যাপার। কিন্তু ৩৩ বছর অনেক দীর্ঘ সময়।
প্রসঙ্গত, চা প্রেমীরা সবখানেই আছেন। ভারতসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চা পান করা হয়। চা উৎপাদনের দিক থেকে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে চীন, যেখানে চা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। এর পর ভারত ও শ্রীলঙ্কার নামও রয়েছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কায়ও প্রচুর চা উৎপাদিত হয়। কিন্তু চা খাওয়ার দিক থেকে কোন দেশ এগিয়ে? অধিকাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন ভারত। কিন্তু এটি ভুল, তুরস্কে বেশিরভাগ মানুষ চা পান করেন।
No comments:
Post a Comment