স্কুলে দুই পড়ুয়ার মধ্যে ছুরির হামলা! বিক্ষোভ হিন্দু সংগঠনের, জারি ১৪৪ ধারা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ আগস্ট : রাজস্থানের উদয়পুর শহরে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ছুরি মারার ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বাজারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার চালানোর দাবীতে হাসপাতালে পৌঁছেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। বিষয়টির গুরুত্ব দেখে জেলাশাসক ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এভাবেই প্রতিবেদন করেছে টিভি নাইন হিন্দি।
ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর সুরাজপোল থানা এলাকায়। এখানে ভাটিয়ানী চৌহাট্টায় অবস্থিত সরকারি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ হয়। এরপর এক কিশোর অপর কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মানুষ শহরের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করা হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতা অনেক জায়গায় ভাঙচুর করেছে। অনেক জায়গায় গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। অর্ধশতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এমবি হাসপাতালে পৌঁছেছে। সেখানেও ব্যাপক তোলপাড় হয়। খবর পেয়ে সাংসদ মান্নালাল রাওয়াত, শহরের বিধায়ক তারাচাঁদ জৈন, গ্রামীণ বিধায়ক ফুল সিং মীনা, জেলা কালেক্টর অরবিন্দ পোসওয়াল, এসপি যোগেশ গয়াল হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
এ ঘটনার জেরে ওয়াল সিটির সব মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। জেলা কালেক্টর ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোর ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ছাত্রের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর জেদে অনড় ভিকটিমের পরিবার।
কয়েকদিন ধরেই দুই ছাত্রের মধ্যে বিবাদ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। দুজনেই একে অপরকে হুমকি দিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে খাঞ্জিপীরে বসবাসকারী এক কিশোর ছুরি নিয়ে স্কুলে আসে। এসময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ওই কিশোর ছুরি বের করে হামলা চালায়। এতে সে নিচে পড়ে রক্তক্ষরণ হয়।
ছুরিকাঘাতের পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। আহত কিশোরটিকে সঙ্গে সঙ্গে তার সহকর্মী ছাত্র ও শিক্ষক একটি স্কুটারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে, হামলার পর আহত শিশুটিকে কার্ডিওলজিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসময় পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনার জেরে পরিবেশ খারাপ হতে থাকে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা নগরীর বাজারগুলো বন্ধ করে দিতে থাকে। কিছু সময়ের মধ্যে পুরো শহরের বাজারগুলো বন্ধ হয়ে যায়। হিন্দু সংগঠনের হাজার হাজার মানুষ শহরের মোড়ে মোড়ে জড়ো হয়। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিবেশের অবনতি দেখে শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয় ভারী পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, বিক্ষোভকারীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমবি হাসপাতালে হাজারো মানুষের ভিড়। সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কালেক্টর পোসওয়াল জানিয়েছেন, ছাত্রের অবস্থা স্থিতিশীল। তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত ছাত্রের বাড়িতে প্রশাসনের বুলডোজার চালানোর দাবী জানিয়েছেন হাসপাতালে বিক্ষোভরত লোকজন।
No comments:
Post a Comment