'রাতটা কি শম্পারও ছিল না?' আরজি কর কাণ্ডের আবহে বিস্ফোরক পোস্ট পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ আগস্ট, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছে বাংলা সহ গোটা দেশ। নৃশংস এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ন্যায়বিচারের দাবীতে স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাত দখলের ডাক দেন মেয়েরা। শুধু শহর নয়, জেলায় জেলায় পৌঁছে যায় এই আন্দোলনের আঁচ। রাত যেন জনসমুদ্রের আকার নেয়। আর এই কর্মসূচির রাতেই আরজি করে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চলে, নষ্ট হয় অনেক দামী দামী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম। রক্তাক্ত হয় পুলিশ। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই আবহেই রাজ্য পুলিশের তরফে বিস্ফোরক পোস্ট। পোস্টে দেখা যায়, রক্তাক্ত এক মহিলা কনস্টেবলের ছবি। নাম শম্পা প্রামাণিক, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কাজ করেন তিনি।
পুলিশের করা পোস্ট থেকে জানা যায়, সেই রাতে জনরোষের মুখে পড়েন শম্পা। বাগুইআটিতে রাত দখলের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভিড় থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন তিনি। পুলিশ জানায়, রাতে রাস্তায় যাঁরা হাঁটছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে থেকে ছোঁড়া ইট এসে তাঁর মুখে লাগে।
এই ছবি শেয়ার করে পুলিশ লিখেছে, 'রাতটা কি শম্পারও ছিল না?' আরও লেখা হয়, 'রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তা দখলের রাত। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী, যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ আগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে।' পুলিশের প্রশ্ন, 'তাঁকে কেন পড়তে হল হামলার মুখে?' 'রাতটা কি শম্পারও ছিল না?'
সেইসঙ্গে জানানো হয়, ঘটনার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করবে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment