স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প জিরো অয়েল কুকিং
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৭ আগস্ট: তেলবিহীন রান্না স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।এতে তেল ছাড়া খাবার রান্না করা হয়,যা শুধু ক্যালরির পরিমাণই কমায় না খাবারের পুষ্টিগুণও ধরে রাখে।
তেল ছাড়া রান্নার জন্য ভাপে রান্না করা,সেদ্ধ করা,গ্রিল করা বা রোস্ট করার মতো পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।যারা ওজন কমাতে চান বা তাদের হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে চান তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।এই ধরনের খাবার শুধুমাত্র সুস্বাদু নয় স্বাস্থ্যকরও।কারণ এতে ট্রান্স ফ্যাট এবং উচ্চ ক্যালরি থাকে না।নিয়মিত তেল ছাড়া রান্না খেলে,আপনি আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পূর্ণ রাখতে পারেন।
ভাপে রান্না করা বা স্টিমিং -
কীভাবে করবেন:
সবজি,মাছ বা মুরগি স্টিমিং করতে একটি স্টিমার ব্যবহার করুন।এতে পুষ্টি বজায় রেখে খাবার তৈরি করা হয়।
ব্যবহার: সবজি,মোমো,ইডলি,ধোকলা ইত্যাদি।
সেদ্ধ করা বা বয়েলিং -
কীভাবে করবেন:
খাবারের জিনিসগুলো জলে সেদ্ধ করে রান্না করুন।এই পদ্ধতিতে তেল ছাড়াই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা হয়।
ব্যবহার: ডিম,আলু,পাস্তা,নুডলস ইত্যাদি।
গ্রিলিং -
কীভাবে করবেন:
তেল ছাড়া শাকসবজি,পনির বা মাংস রান্না করুন।গ্রিলিং খাবারে একটি বিশেষ স্বাদ দেয়।
ব্যবহার: পনির টিক্কা,ভাজা সবজি,চিকেন টিক্কা ইত্যাদি।
বেকিং -
কীভাবে করবেন:
ওভেনে খাবার রান্না করুন।এই পদ্ধতিতে তেলের প্রয়োজন হয় না এবং খাবার খাস্তা হয়।
ব্যবহার: রুটি,কেক,কুকিজ,ভেজিটেবল কাটলেট ইত্যাদি।
মাইক্রোওয়েভিং -
কীভাবে করবেন:
মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে খাবার রান্না করুন।এটি সময় বাঁচায় এবং তেলের প্রয়োজন হয় না।
ব্যবহার: মাইক্রোওয়েভ সবজি,ডাল,চাল ইত্যাদি।
তেল ছাড়া রান্নার উপকারিতা -
ক্যালরি কমায়:
তেল ছাড়া রান্নার উপকারিতা অনেক এবং এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।তেল ছাড়া রান্না মানে তেল ছাড়াই রান্না করা বা খুব কম তেল ব্যবহার করা।এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কারণ তেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে।যখন আমরা কম তেল ব্যবহার করি বা তেল ছাড়া খাবার তৈরি করি তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির পরিমাণ কমে যায়,যা স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য ভালো -
তেল ছাড়া রান্না হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।তেলে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।তেল ছাড়া খাবার খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।
হজমে উপকারী -
তেল ছাড়া রান্না হজম প্রক্রিয়ারও উপকার করে।তেলে ভাজা খাবার ভারী এবং হজম করা কঠিন,যার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।তেল ছাড়া রান্না করা খাবারে সমস্যা কম হয় এবং সহজে হজম হয়।এর সাহায্যে গ্যাস,অ্যাসিডিটি এবং হজম সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা এড়ানো যায়।
পুষ্টিকর খাবার -
তেল ছাড়া রান্নার আর একটি বড় সুবিধা হল এটি আপনাকে আরও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে।আপনি যখন তেল ছাড়া রান্না করেন,তখন শাকসবজি এবং অন্যান্য উপাদানের প্রাকৃতিক পুষ্টি এবং ভিটামিনগুলি আরও ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়।এটি আপনার খাবারকে কেবল স্বাস্থ্যকরই নয়,আরও পুষ্টিকর করে তোলে।
No comments:
Post a Comment