কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে মধুচক্রের আসর! গ্ৰেফতার ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৪ সেপ্টেম্বর: কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে মধুচক্রের আসর। ধরলেন স্থানীয়রা। এরপরেই ধুন্ধুমার। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। গ্ৰেফতার ৪। তদন্তে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তেঁতুলবাড়ির এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
হোটেলের আড়ালে চলছিল দেহ ব্যবসা। রমরমিয়ে বসছিল মধুচক্রের আসর। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত বাড়তেই ভিড় জমাতেন বহিরাগত যুবক-যুবতীরা। এসব দেখে বেশ কিছু দিন ধরেই সন্দেহ হয় তাঁদের। তারপরেই মধুচক্রের পর্দা ফাঁস, ব্যাপক ভাংচুর হোটেলে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত সাব ইন্সপেক্টর। গ্রেফতার ৪ যুবক। উদ্ধার এক মহিলা। ভুল বোঝাবুঝিতে স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে থানার সামনেও ধস্তাধস্তি। পরবর্তীতে আইসির হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলবাড়িতে একটি হোটেল রয়েছে, যে হোটেলের মালিক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ মসলিমের ছেলে নুর আলম। যিনি আবার কংগ্রেস-সিপিএম জোট পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের আত্মীয়। অভিযোগ, ওই হোটেলে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাইরে থেকে যুবক-যুবতীরা আসতেন। পার্শ্ববর্তী স্থানীয় দোকানদারদের এসব দেখে সন্দেহ হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে আবার যুবক-যুবতীরা আসেন। তারপরে স্থানীয়রা চার যুবক এবং এক মহিলাকে আটক করেন। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আসতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হন। গণ্ডগোলের জেরে ভুল বোঝাবুঝিতে পুলিশ স্থানীয় কিছু যুবককে আটক করলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়।আইসি মনোজিৎ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ সূত্রে খবর মোট ৪ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
হোটেলের মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আত্মীয় তথা প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাই শুরু হয়েছেে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবী, হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত কংগ্রেস সিপিএম জোটের দখলে। এই হোটেল প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের। তারা প্রভাব খাটিয়ে এই ধরণের অনৈতিক কাজ চালাচ্ছিল।
এদিকে কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তহমিনা খাতুনের দাবী, সম্প্রতি তাঁরা এই হোটেল ভাড়া দিয়েছিলেন। সমস্যা মনে হওয়ায় ভাড়া থেকে উঠেও যেতে বলেছিলেন। তার মাঝেই এই ঘটনা। আর যারা ভাড়া নিয়েছিলেন তারা তৃণমূল করে। তারা এই ষড়যন্ত্র করেছে। সাথে তৃণমূলের ছেলেরাই হোটেল ভাঙচুর করেছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment