আয়ুর্বেদ অনুসারে শরীর সুস্থ রাখে যে ছয়টি রস
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ সেপ্টেম্বর: শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আমরা সারাদিন যা খাই এবং পান করি তা শরীরের জন্য অপরিহার্য নয়।আয়ুর্বেদে আবহাওয়া ও মানুষের শারীরিক গঠন অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।আপনি যদি ফিট এবং সুস্থ থাকতে চান,তবে আয়ুর্বেদ অনুসারে,নিজেকে সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় ছয়টি রস অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
আসুন জেনে নেই আয়ুর্বেদ অনুসারে এই ছয়টি রস কোনগুলো এবং কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।আয়ুর্বেদ অনুসারে, মধুর (মিষ্টি),লবণ (নোনতা),আমলকি (টক),কটু (কড়া),তিক্ত (মশলাদার) এবং কাষায় (কষা) - এই ছয়টি রসকে এর মধ্যে গণনা করা হয়।এই রসগুলি দেহের প্রকৃতি হিসাবে বিবেচিত হয়।সেই অনুযায়ী খাবার খেতে হবে।এগুলো শরীরে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা প্রতিরোধ করে।
মধুর রস (মিষ্টি) শরীরে এনার্জি ও শক্তি যোগায়।এটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
আমলকির রস (টক) হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরে ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
লবণ রস (লবণ) শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এবং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।এটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
কটু রস (কড়া) শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে এবং হজমের উন্নতি করে।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
তিক্ত রস (মশলাদার) শরীরকে টক্সিন থেকে মুক্ত করে এবং হজমের উন্নতি করে।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
কাষায় রস (কষা) শরীরে এনার্জি ও শক্তি যোগায়।এটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
আমরা যখন আমাদের খাবারে এই ছয়টি রস ব্যবহার শুরু করি তখন আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে।এর সাথে,যখন আমরা প্রচুর পরিমাণে সমস্ত রস পাই তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।এই রসগুলি সুষম পরিমাণে মিশিয়ে পান করলে এনার্জি ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বের হয়ে যায়।এছাড়া ওজন ঠিক রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলও সুস্থ থাকে।
এটা জেনে রাখা উচিৎ যে আয়ুর্বেদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।তাই খাওয়ার আগে হাত ধোয়া খুবই জরুরি।খাবার খাওয়ার আগে হাত ভালো করে স্যানিটাইজ করুন বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে তারপর খাবার খান।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment