মারধর-শ্লীলতাহানি, খাওয়ানো হত কুকুরের‌ মল! তৃণমূল নেত্রীর নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মহিলাদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 18 September 2024

মারধর-শ্লীলতাহানি, খাওয়ানো হত কুকুরের‌ মল! তৃণমূল নেত্রীর নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মহিলাদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার


মারধর-শ্লীলতাহানি, খাওয়ানো হত কুকুরের‌ মল! তৃণমূল নেত্রীর নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মহিলাদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার




নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ সেপ্টেম্বর: তৃণমূল নেত্রীর নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মহিলাদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেত্রীর অবর্তমানে তাঁর স্বামী নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের পুলিশ সুপারের কাছে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার। হাবড়া থানার অন্তর্গত দক্ষিণ হাবড়া এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 


মহিলা নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসার নামে মহিলাদের সাথে পৈশাচিক অত্যাচারের অভিযোগ করেন কলকাতার এক মহিলা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় বারাসত পুলিশ সুপারের কাছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশেই হাবড়া থানার পক্ষ থেকে বুধবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সাথে উপস্থিত ছিলেন হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।


মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত এবং মানসিক রোগগ্রস্ত মহিলাদের চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে তাঁদের সাথে পৈশাচিক অত্যাচার করা হয় এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই কেন্দ্র যিনি চালান মালা বসু কর, তিনি শাসক দলের হাবড়া শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। তাই শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের নামে ভয় দেখান সবসময়। চিকিৎসার নামে আটকে রেখে মহিলাদের মারধর এবং শ্লীলতাহানি ও এমনকি কুকুরের মল খাওয়ানো হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পাশাপাশি, নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়।


অপরদিকে মহিলার অভিযোগ অস্বীকার করেন নেশা মুক্তি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেত্রী মালা বসু কর। তিনি জানান, যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজের কার্যসিদ্ধি করতেই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ওই মহিলার কলকাতায় একটি ফাঁকা ফ্ল্যাট আছে, সেখানেই এখানকার মহিলাদের নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর জন্যই মূলত এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই মহিলার বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় আগে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানান মালা বসু কর।


এদিকে এই ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক বিএমওএইচকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কোনও বক্তব্য রাখেননি তিনি। এর পাশাপাশি যার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীর স্বামী পিনাকী কর, তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad