সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ! প্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৯ সেপ্টেম্বর: কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের এলাকাবাসীর। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। ঘটনা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
পঞ্চায়েতের পালা বদল হতেই ফের শুরু দুর্নীতি। জোটের হাত থেকে তৃণমূলের কাছে পঞ্চায়েতে যেতেই সামনে এল দুর্নীতি। অভিযোগ, কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। এই নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধান। তদন্তের দাবীতে বুধবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। যদিও প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের সামিমা পারভিনের স্বামী মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামপুর গ্রামের হরিজন পাড়ায় রাধাগোবিন্দ মন্দির চত্বরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল বসানোর কথা ছিল পঞ্চায়েতের। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান টিউবওয়েল না বসিয়ে প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। একথা জানতে পেরে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয়রা।
অভিযোগকারীদের কথায়, 'আমরা হরিজন পাড়ায় ৪০ টি পরিবার বসবাস করি। পাড়ায় কোনও সাব মার্সিবল পাম্প নেই। মন্দির চত্বরে একটি টিউবওয়েল বসানোর দাবী করেছিলাম প্রধানের কাছে। প্রধান এসে পরিদর্শন করে যান। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে টিউবওয়েল শীঘ্রই বসানো হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে আমরা জানতে পারি প্রকল্পের কাজ না করে গত ৪ সেপ্টেম্বর ৫০,১২৪ টাকা তুলে নিয়েছে। প্রধানকে বললে কোনও কর্ণপাত করছে না। তাই আমরা বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।'
প্রধানের স্বামী মহম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, 'মন্দিরের পাশে রাস্তা করতে দেয়নি পাড়ার লোকেরা। মন্দির চত্বরে একটি নলকূপ রয়েছে, তবে সেটি অকেজো। সেখানে টিউবয়েল বসানো নিয়ে তাঁদের মধ্যে আপত্তি ছিল। তাই প্রকল্পটি ৩০০ মিটার দূরে মুচি পাড়ায় বসানো হয়েছে। জিও ট্যাগিং করে বিল পাস হয়েছে। বিরোধীরা চক্রান্ত করে প্রধানের নাম বদনামের চেষ্টা করছে।'
এদিকে গোটা ঘটনার সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস-সিপিএমের দাবী, যখন জোটের হাতে পঞ্চায়েত ছিল কোনও দুর্নীতি হয়নি। যাঁরা জোট থেকে তৃণমূলে গেছে তাঁরা দুর্নীতি করার জন্য গেছে এটা প্রমাণিত।' অপরদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবী, 'প্রশাসন তদন্ত করে দুর্নীতি দেখলে দল পাশে থাকবে না।'
No comments:
Post a Comment