কোন কারণের জন্য আশাকে সহ্য করতে পারতেন না লতা মঙ্গেশকর?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর: লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে, একটা সময় গানের দুনিয়া দখল করেছিলেন এই দুই বোন। বলিউড, কলিউড থেকে টলিউড, গোটা ভারত জুড়ে বিভিন্ন ভাষাতে গান গেয়েছেন তারা। অথচ সম্পর্কে দুই বোন হলেও দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে বনিবানা ছিল না। আশার মুখ দেখতেন না লতা। ঠিক কী ঘটেছিল তাদের মধ্যে? কেন দুই বোনের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল?
লতা, আশা খুব ছোট বয়সেই তাদের বাবাকে হারিয়েছিলেন। তাদের বাবা দিননাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৪২ বছর বয়সে। স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি তিনি। বাবার মৃত্যুর পর তাই ভাইবোনদের মধ্যে বড় হিসেবে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল লতাকে। মাত্র ১২ বছর বয়সে রোজগারের পথে নামতে হল তাকে। তখন আশার বয়স মাত্র ৪ বছর।
ছোট থেকেই আশা এবং লতার মধ্যে খুব সদ্ভাব ছিল। বোনকে এক মুহূর্তও কাছছাড়া করতেন না লতা। এমনকি স্কুলেও বোনকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। কিন্তু একবার স্কুলের তরফ থেকে আপত্তি জানানো হল এই বিষয়ে। লতা যখন জানতে পারেন তিনি স্কুলে বোনকে নিয়ে যেতে পারবেন না তখন তিনি স্কুলে যাওয়াই ছেড়ে দিলেন। পড়াশোনা ছেড়ে তখন পুরোদস্তুর গানের জগতে ঢুকে পড়েন লতা।
মারাঠি ছবিতে গান এবং অভিনয় করে শুরু হয় লতার কর্মজীবন। অন্যদিকে আশা তখন বাড়িতে থেকে বাড়ির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু কম বয়সে একটা ভুল করে ফেলেন আশা। তিনি বাড়ির ম্যানেজার গণপত রাও ভোঁসলের প্রেমে পড়েন। ১৫ বছরের পার্থক্য ছিল তাদের বয়সে। আশা গণপতের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন। বোনের এই কাণ্ড মেনে নিতে পারেননি লতা। এই ঘটনায় দুই বোনের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
তবে শ্বশুরবাড়িতেও আশা খুব একটা সুখী হতে পারেননি। গণপতের পরিবার ছিল সংরক্ষণশীল মনোভাবের। সেখানে মানিয়ে নিতে পারেননি আশা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বাধ্য হয়ে চলে আসেন বাপের বাড়িতে। এবারে আর মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি লতা। বোন এবং তার দুই সন্তানকে তিনি কাছে টেনে নিয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment