প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর : আইসক্রিমের নাম শুনলেই যে কারও খেতে ইচ্ছে করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, আইসক্রিম প্রতিটি ঋতুতেই ভালো লাগে। তবে, একটি সাধারণ বিশ্বাসও রয়েছে যে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, কারণ এতে চিনি, স্বাদ, রঙের মতো জিনিসগুলি যোগ করা হয়, যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে।
তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় জানা গেছে যে আইসক্রিম আমাদের স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। 'দ্য আটলান্টিক' ম্যাগাজিন 'দ্য আইসক্রিম ষড়যন্ত্র'-এ বলেছে যে আইসক্রিম খেলে অনেক রোগ সেরে যায়। এটি শুধু মেজাজই উন্নত করে না, শরীর ও মনের ওপরও বিশেষ প্রভাব ফেলে।
মানসিক স্বাস্থ্য বাড়ায়
শুধু এক কাপ আইসক্রিমই বদলে দিতে পারে আপনার মেজাজ। যখনই ভালো লাগবে না বা মানসিক চাপ অনুভব করবেন, তখনই আইসক্রিম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইসক্রিম একটি প্রাকৃতিক কুলিং এজেন্টের মতো, যা ব্যথা উপশম করে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এর পাশাপাশি দুধে রয়েছে ট্রিপটোফেন যা হ্যাপি হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণ করে মস্তিষ্ককে ভালো করে তোলে।
আপনার মন সুস্থ রাখুন
ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি, লন্ডনের ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আইসক্রিম খাওয়ার পরে, মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রতিক্রিয়া শুরু করে। আইসক্রিম খাওয়া মস্তিষ্কের অরবিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে তীক্ষ্ণ করে, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দায়ী। মানে আইসক্রিম মেজাজ উন্নত করে। আইসক্রিমে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের ঘুমেরও উন্নতি ঘটায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
আইসক্রিম খেলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমে। দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে তৈরি আইসক্রিমে দুধ ও চর্বি থাকার কারণে একটি বিশেষ ধরনের মেমব্রেন তৈরি হয়, যা রক্তে চিনি নিঃসরণের গতি কমিয়ে দেয়। গবেষণা দেখায় যে আইসক্রিমের একটি কম গ্লাইসেমিক সূচক মান রয়েছে, যার অর্থ এটি চিনির নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
হাড় মজবুত করে
আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা আমাদের হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীরের হাড় সুস্থ রাখে। আইসক্রিম অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়
আইসক্রিমে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করে। এটি আমাদের পেট সুস্থ রাখে। তবে, কিছু পরিস্থিতিতে আইসক্রিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি খেলে উপকারের পাশাপাশি অনেক রোগে ক্ষতিও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment