মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৬ সেপ্টেম্বর: আজকাল প্রায় সবার হাতেই মোবাইল ফোন দেখা যায়।Statista-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে,বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৭০% স্মার্টফোন ব্যবহার করছে।সব বয়সের মানুষের মধ্যেই স্মার্টফোনের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে।মোবাইল ফোন নিয়ে মানুষের মাঝে এমন ভয় ও বিভ্রান্তি থাকে যে,এর ব্যবহার ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।আসুন এটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সারা বিশ্ব থেকে সমস্ত গবেষণা পর্যালোচনা করা হয়েছিল -
মানুষের মধ্যে একটি বড় মিথ ছিল যে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিও তরঙ্গ মস্তিষ্ক,মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার সৃষ্টি করে।কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মানুষের এই বিভ্রান্তি দূর করেছে।মোবাইল ফোন এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক জানতে সারা বিশ্বে এই পর্যন্ত পরিচালিত সমস্ত গবেষণা পর্যালোচনা করা হয়েছে।যেখানে মোবাইল ফোন থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি নেই বলে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।তবে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনেক অসুবিধা রয়েছে।এতে ফোকাস কমে যায়,মনোযোগের পরিধি কমে যায়,চোখের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।তাই এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।
প্রতিবেদনে এসব ফলাফল এসেছে -
মোবাইল ফোনের সঙ্গে ক্যান্সারের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেন ক্যান্সার হয় না।
মোবাইল ফোন মাথা,ঘাড় বা শরীরের অন্য কোথাও ক্যান্সার সৃষ্টি করে না।
যদি আগে থেকেই ক্যান্সার বা টিউমার থাকে তাহলে তাতে কোনও পার্থক্য হয় না।
এভাবেই রিভিউ করা হয়েছে -
মোবাইল ফোন সংক্রান্ত এই পর্যালোচনাটি অস্ট্রেলিয়ান রেডিয়েশন প্রোটেকশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি এজেন্সি (আরপানসা,ARPANSA)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল। সারা বিশ্ব থেকে মোট ৫,০০০ টিরও বেশি গবেষণা এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৯৯৪ এবং ২০২২-এর মধ্যে প্রকাশিত ৬৩টি সবচেয়ে নিখুঁত গবেষণা পর্যালোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পর্যালোচনার পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে কোনও ধরনের ক্যান্সার বা টিউমার হয় না।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:
নোমোফোবিয়া -
কেউ কেউ টয়লেটেও মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যায়।এই অভ্যাসকে বলা হয় 'নোমোফোবিয়া'।ছোট-বড় প্রতিটি কাজে মানুষ মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
চাপ -
স্মার্টফোন খুব বেশি ব্যবহার করলে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে।এতে উদ্বেগ বাড়তে পারে।এছাড়াও চোখ এবং ঘাড়ের পেশীতে টান বাড়তে পারে।
ঘুম -
মোবাইল ফোনের কারণে ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।আমেরিকান ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন বা অন্যান্য গ্যাজেট ব্যবহার করলে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে।
চোখ -
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখ শুষ্ক,ঝাপসা দৃষ্টি এবং মাথাব্যথা হতে পারে।চোখের উত্তেজনা বাড়ে।দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শিশুদের উন্নয়ন -
ফোন শিশুদের বিকাশকে প্রভাবিত করে।ছোট শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।তাদের শারীরিক বৃদ্ধিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
No comments:
Post a Comment