সাবধান! নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভারতের বাজারে প্রবেশ চীনের বিষাক্ত রসুন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 12 September 2024

সাবধান! নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভারতের বাজারে প্রবেশ চীনের বিষাক্ত রসুন


 সাবধান! নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভারতের বাজারে প্রবেশ চীনের বিষাক্ত রসুন



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর : চীন থেকে আসা নিম্নমানের ও বিষাক্ত রসুন আবার ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।  এই রসুনের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি রয়েছে।  দেশি রসুনের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে চীন গোপনে ভারতের বাজারে তার বিষাক্ত রসুন পাঠানো শুরু করেছে।  এই রসুন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই বিপজ্জনক নয়, ভারতের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


 

 ভারত ২০১৪ সালে চীন থেকে রসুন আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল।  তা সত্ত্বেও গোপনে ভারতের বাজারে বিক্রি হচ্ছে চীনের বিষাক্ত রসুন।  সম্প্রতি, গুজরাটের 'গোন্ডাল কৃষি পণ্য' বাজার থেকে ৭৫০ কেজি চীনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  এই ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানান।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষাক্ত রসুন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।


 

 চীন থেকে আসা রসুনে মিথাইল ব্রোমাইড নামে একটি বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।  রসুনকে ছত্রাক থেকে রক্ষা করতে এই রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয় এবং এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।  এটি দীর্ঘায়িত সেবনে লিভার, কিডনি এবং স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে।  এছাড়াও এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।



 ভারত ও চীন দুই দেশই রসুনের বড় উৎপাদক কিন্তু চীনা রসুনে উপস্থিত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ এবং এর নিম্নমানের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা কমে গেছে।  উল্টো অভ্যন্তরীণ ও বাইরের বাজারে ভারতের দেশি রসুনের চাহিদা বাড়ছে।  বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে উৎপন্ন রসুন আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।  চীন এখন তার বিষাক্ত রসুন ভারতের বাজারে সুলভ মূল্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে তারা তার দখল ফিরে পায়।


 

 সম্প্রতি নেপাল হয়ে ভারতে আসা ১৬ টন চীনা রসুন বাজেয়াপ্ত করেছে কাস্টমস বিভাগ।  বিভাগ এ পর্যন্ত ১৪০০ কুইন্টাল বিষাক্ত চীনা রসুন ধ্বংস করেছে।  রসুনের এই বিষাক্ত খেলা বন্ধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিরন্তর প্রচেষ্টা চালালেও কালোবাজারি চলছে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad