নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৬ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : আরজি কর আবহেই স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয়, 'রোগী কল্যাণ কমিটি সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছি। সব প্রিন্সিপালরাই এখন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। এবার তাদের সেখানে MSVP সদস্য থাকবে। একজন জুনিয়র ডাক্তার, একজন সিনিয়র ডাক্তার বা HOD, একজন নার্স এবং একজন জনপ্রতিনিধি থাকবেন। তাঁরাই হাসপাতালের দায়িত্ব নেবেন।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। আমি মুখ্য সচিব, সহকারী সচিবকে একটি মেকানিজম তৈরি করতে বলেছি যাতে তারা কাজটি দ্রুত করতে পারে। একজনের উপর ছেড়ে দিলে তার অন্য কাজও থাকতে পারে, যেটাতে সময় লাগতে পারে। অনেক কাজ শুরু হয়েছে, অনেক কাজ হয়েছে। চারিদিকে বন্যা দুর্গত মানুষ, বন্যা ত্রাণে সবাইকে কাজ করতে হচ্ছে। পুরো প্রশাসন বন্যা ত্রাণে কাজ করছে। এই দুই দিনে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ডিভিসি গতকাল আরও জল ছেড়েছে। এমন অবস্থায় বৃষ্টি, তারপর জলের পর জল। প্লাবনের উপর প্লাবন।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলা ভাসছে, তারমধ্যেও বিএমওএইচ, সিএমওএইচকে উত্তরবঙ্গে ম্যালেরিয়ার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গুটা একটু কম আছে। আমরা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার জন্য প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছি। বাইরে অনেকে আছেন, যারা নিরাপত্তার কাজ করছেন বা সাফাইয়ের কাজ করছেন। এর মধ্যে অনেকেই অজানা, তাদের সম্পর্কে তথ্য নেই। সেগুলো দেখতে বলা হয়েছে। অনেক জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে এবং বাইরে থেকে লোকজন আসছেন কাজে। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য রাখতে বলেছি। হোস্টেলগুলোকেও দেখভাল করার কথা বলা হয়েছে।"
এর আগে, সুরজিৎ কর পুরকায়স্তকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডিজি পুলিশ সুরজিৎ কর পুরকায়স্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত অডিট করবেন। আজ যদি নিরাপত্তা চান, আজ তা দিতে পারব না। কিন্তু যা আছে তার থেকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আস্তে আস্তে নিরাপত্তা অডিট করে, হাসপাতালে নিরাপত্তা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।'
No comments:
Post a Comment