রাজ্যে বন্যায় বলি ২৮, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৪ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরে, তিনি সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য আবারও ডিভিসিকে দায়ী করেন। তিনি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন যে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিও পরে পুনর্নির্মাণ করা হবে।
গোটা রাজ্যে বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূমের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন যে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি ইচ্ছাকৃতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, "বন্যায় নিহতদের পরিবারকে সরকার ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। এর পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের জন্য বাড়িও তৈরি করবে রাজ্য।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কমপক্ষে ১১ লাখ বাড়ি তৈরি হবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বন্যায় যাদের ফসল নষ্ট হয়েছে তাদের শস্য বীমার আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানে এক প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, কেন্দ্র যদি নির্বাচনে খরচ করা অর্থের এক শতাংশও রাজ্যকে দিত, তাহলে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হত। কিন্তু টাকা না পেলেও রাজ্য সরকার সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যেখান থেকে হোক টাকা জোগাড় করে জনগণের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানান তিনি।
শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেন যে এটি একটি 'ম্যানমেড বন্যা'। তিনি আরও দাবী করেন, ২০০৯ সালের পর এত জল আগে কখনও ছাড়েনি। বাংলার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে দাবী করেন মমতা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ডিভিসি রাজ্যকে জানিয়ে জল ছেড়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে একমত নয়। বরং, তাঁর দাবী যে ডিভিসি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জল ছাড়ার বিষয়ে কোনও সতর্কতা দেওয়া তো দূরের কথা, জল ছেড়ে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment