মিষ্টি খাওয়াও হতে পারে শরীরের জন্য উপকারী
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৬ সেপ্টেম্বর: মিষ্টি খেতে অনেকেই পছন্দ করে।সম্প্রতি আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে খাবারের পর মিষ্টি খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আয়ুর্বেদে মিষ্টি খাবারকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।আয়ুর্বেদ অনুসারে,মিষ্টি স্বাদ পিত্তকে শান্ত করে এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।এছাড়া হজম প্রক্রিয়ারও উন্নতি ঘটে এবং খাবারও হজম হয়।সেই সঙ্গে মনও থাকে খুশি এবং বিষণ্ণতাও কমে।চলুন জেনে নেই মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা।
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি -
মিষ্টি খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়,যা অ্যাসিডিটি এবং বুকজ্বালার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
হজমশক্তি উন্নত করে -
খাবারের পর মিষ্টি খেলে হজমশক্তি ভালো হয়।
শরীর দ্রুত সুস্থ হয় -
মিষ্টি খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসে।বিশেষ করে ব্যায়াম করার পর মিষ্টি খেলে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
বিষণ্নতা কমে -
মিষ্টি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক হরমোনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়,যা মনকে অনেকটা শান্ত করে ও বিষণ্ণতা কমে।
পাচনতন্ত্র শক্তিশালী করে -
মিষ্টি খাওয়া অন্ত্রের পেশী শক্তিশালী করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্যের জন্য কতটা মিষ্টি খাওয়া উচিৎ?
মিষ্টি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।তবে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে স্থূলতা,ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
কোন মিষ্টি খাবার সঠিক -
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী খাবারের পর তাজা ফল,মধু,গুড় বা মিছরি খাওয়া ভালো।এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।প্রক্রিয়াজাত চিনি বা চিনি থেকে তৈরি মিষ্টি এড়িয়ে চলা উচিৎ।কারণ এতে ক্যালরি বেশি থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মিষ্টি খাওয়ার ভারসাম্য -
খাবার খাওয়ার পর একটু মিষ্টি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।তবে মিষ্টি খাওয়ার ভারসাম্য থাকার কথাও বলেছে আয়ুর্বেদে।অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment