সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেননি প্রধান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নালিশ তৃণমূলে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 25 September 2024

সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেননি প্রধান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নালিশ তৃণমূলে


 সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেননি প্রধান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নালিশ তৃণমূলে 




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৫ সেপ্টেম্বর: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত অর্থে টিউবওয়েল না বসিয়েই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানের বিরুদ্ধে। ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এলাকাবাসীর একাংশ। কিন্তু এবারে এলাকাবাসীর আরেক অংশের পাল্টা দাবী, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেখানে টিউবওয়েল বসানোর কথা ছিল সেখানে টিউবয়েল থাকার জন্য কিছুটা দূরে অন্য পাড়ায় বসানো হয়েছে। তৃণমূল প্রধানের স্বামীর দাবী, প্রধানকে বদনাম করার জন্য দলের মধ্যে থেকেই ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ করানো হয়েছিল। ঘটনা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। অন্যদিকে প্রধানের হয়েই সওয়াল করেছেন ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়ে তার দাবী সঠিক জায়গায় টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের। 


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামপুরের হরিজন পাড়ায় রাধাগোবিন্দ মন্দির চত্বরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত ৭৫ হাজার টাকায় টিউবওয়েল বসানোর কথা ছিল। কিছু এলাকাবাসী ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামীমা পারভীন কাজ না করে স্কিম দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন। বড় দুর্নীতি করেছেন প্রধান। দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীরাও। কিন্তু এবার ওই এলাকারই মানুষের দাবী, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে, যেখানে বসানোর ছিল তার থেকে কিছুটা দূরে বসানো হয়েছে। যেহেতু ওই পাড়ায় ইতিমধ্যেই একটি টিউবওয়েল রয়েছে। তাই তারা প্রধানকে অনুরোধ করেছিলেন তাদের পাড়ায় বসানোর জন্য। সেই অনুযায়ী রেজুলেশন করে প্রধান টিউবওয়েল অন্যপাড়ায় বসিয়েছেন।


কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানের স্বামী আজহারউদ্দিনের দাবী, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছিলেন। কিন্তু দলের মধ্যে থেকে কেউ বা কারা বদনাম করতে চেয়েছিলেন প্রধানের। তাই সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রশাসন এসে তদন্ত করে সবটাই দেখে গেছে। আর প্রধানের স্বামীর এই দাবীর পরেই এবার দলের কোন্দল সামনে এসেছে। তবে কী দলের মধ্যে থেকেই প্রধানকে পছন্দ করতে পারছেন না অনেকে? তার জন্যই কী এই ধরনের অভিযোগ? ঘটনায় আদি-নব্য তৃণমূলের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। 


আর এই ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপির কটাক্ষ, সবটাই ভাগের খেলা। তৃণমূলের একাংশ ভাগ না পেলে অন্য অংশের বিরুদ্ধে এইভাবেই অভিযোগ করে। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এই দলটা চলে। যদিও ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, যদি দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের ব্যাপার থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁদের কাছে অভিযোগ আসলে দলীয় ভাবে তারা খতিয়ে দেখবে। সাথে সম্পূর্ণভাবে প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) তৃণমূল ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, 'রেজুলেশন করে টিউবওয়েল খানিকটা দূরে বসানো হয়েছে।' গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রধান যদি লিখিত অভিযোগ জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে কে ষড়যন্ত্র করেছে, দল ব্যবস্থা নেবে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad