'চোখ দিয়ে তাকাতেও যেন ভয় পায়', আরজি কর আবহে কড়া বার্তা দেবের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হয়। তবে আজ শেষমেষ জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা পাঁচটায় মুখ্য সচিবের ডাকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাসভবনে যান। আলোচনা চলছে এখনও।
প্রশাসনের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের অংশগ্রহণের বিষয়ে ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব বলেন, 'আমি তাদের সাধুবাদ জানাই, আমি চাই এই আন্দোলন এবার শেষ হোক, দোষীদের শাস্তি হোক এবং গরীব মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, সরকারি হাসপাতাল তাঁদের জন্য মন্দিরের মতো। তাঁরা অসুস্থ হলে যাতে পরিষেবা পান। আমরা সবাই জানি জুনিয়র ডাক্তার ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না। এখন আমরা সবাই এটা বুঝি, অন্তত যারা বুঝতে পারত না। তারা মনে করত ডাক্তারই সব কিন্তু জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তার মিলে হাসপাতাল চালায়।'
তিনি আরও বলেন, 'গত ৪০ দিন ধরে বাংলায় আন্দোলন চলছে, শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতবর্ষ তাতে শরিক হয়েছে। এই আন্দোলনের একটাই উদ্দেশ্যে, যাতে এখন কোনও মেয়ের নাম তিলোত্তমা বা নির্ভয়া না রাখতে হয় এবং এমন কিছু আসা উচিত যাতে মানুষ এই রেপ মেন্টালিটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং হাত দেওয়া তো দূরের কথা, চোখ দিয়ে তাকাতেও যাতে ভয় পায়।'
ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ঘাটালের সাংসদ দেব আজ তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন। পরে তিনি ঘাটালের মহকুমা শাসক দফতরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি জল ছাড়া নিয়ে সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গতকাল ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল এবং আজ আবার ৪০হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে সেটি দেব নিজেই বুঝতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি নিজে গিয়েই মনিটরিং করবেন এবং কোথায়, কী প্রয়োজন তা দেখবেন।
No comments:
Post a Comment