পায়ের রং বদলে যাওয়া হতে পারে পিএডির লক্ষণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ সেপ্টেম্বর:
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া হৃদরোগের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল ধমনীতে প্লেক তৈরি করে। কোলেস্টেরল একটি মোমযুক্তযুক্ত পদার্থ,যা শরীরের সুস্থ কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় এক উপাদান।
যখন রক্তনালিতে অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল বা চর্বি জমা হয়,তখন এটি ধমনীগুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবাহ কঠিন হয়ে যায় ও হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে। বংশে কোনো উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী থাকলে অন্যদের মধ্যেও পরে তা দেখা দিতে পারে।
এর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে অস্বাস্থ্যকর খাবার,শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা,অতিরিক্ত ওজনসহ অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা।সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল,কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেও এর কোনো গুরুতর লক্ষণ তেমন প্রকাশ পায় না।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে,উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল টের পাওয়া যায় পায়ের এক লক্ষনে।এক্ষেত্রে পায়ের রং বদলে যেতে শুরু করে। এই সমস্যা দ্রুত নির্ণয় না করা হলে কিংবা চিকিৎসা না নিলে উচ্চ কোলেস্টেরল এথেরোস্ক্লেরোসিস নামক অবস্থার কারণ হতে পারে ।
অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হলো চর্বি,কোলেস্টেরল,ধমনীর দেওয়ালে জমা হওয়া,যাকে প্লেকও বলা হয়। এই ফ্যাট বা ফলক ধমনীকে সংকুচিত করতে পারে। যা পা'সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে তোলে।
ফলে ফলকটি ভেঙ্গে যেতে পারে,যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধে ও বিপদ আরও বাড়ে। যখন পায়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা অবরুদ্ধ হয়। তখন এটি পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (পিএডি) নামক অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ কি?
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হল প্লেক তৈরির কারণে সরু ধমনীর সঙ্গে যুক্ত একটি অবস্থা,যার ফলে হাত ও পায়ে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।পিএডি'তে ব্যক্তি পা বা বাহুতে(সাধারণত পা) পর্যন্ত রক্ত পায় না,হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা হয়। এটি 'ক্লাউডিকশন' নামেও পরিচিত।
যদি সময় মতো চিকিৎসা না করা হয়,তাহলে এটি গুরুতর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইসকেমিয়া ও তীব্র অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইসকেমিয়া হতে পারে। যা পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজের একটি উন্নত রূপ। এ প্রভাবেই অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
No comments:
Post a Comment