কাজের জায়গায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনের বড় একটা সময় কাটে পেশাগত জগৎ নিয়ে। চাকরিজীবীদের ৯-১০ঘন্টা অফিসেই কেটে যায়। কখনো কখনো এই সময়ের পরিধিটা আরো বেশি হয়।বেসরকারি বা কর্পোরেট অফিসে কর্মজীবীদের কাজের ধরন অনুযায়ী লক্ষ্যও থাকে বিভিন্ন। এই লক্ষ্যেপূরণের বোঝা কাঁধে নিয়ে এগোতে গিয়ে পেশাগত জীবন ক্লান্তিকর লাগে। দীর্ঘ সময় অফিসে কাজ করলেও কাজ কিছুতেই শেষ হতে চায় না। আবার অফিস আসতেই বিরক্তি লাগে।কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খারাপ লাগা বেশি দিন স্থায়ী হলে,তার প্রভাব পড়তে বাধ্য কেরিয়ারে। কিন্তু এমন হলে কি করবেন?কিভাবে ফেরাবেন কাজ করার ইচ্ছে আর উদ্যম?আসুন তাহলে জেনে নেই-
রুটিন:
দিনের শুরুতেই কী কী কাজ আছে,কোন কাজের জন্য কতটা সময় লাগবে,সেটা যদি আগে থেকে ভেবে নেওয়া যায় তাহলে কাজ সহজ হয়ে যায়। কোনটার পর কোন কাজটি করতে হবে তা মাথায় থাকলে,কাজে নিজে থেকেই গতি এসে যাবে।যদি দেখা যায়,কাজ শেষ করা যাচ্ছে না,তা হলে ঘড়ি ধরে কাজ করার অভ্যাস করতে পারেন। বা তলিয়ে ভাবতে পারেন সমস্যা কেন হচ্ছে? সেই মতো নিজেকেই সমাধান খুঁজতে হবে।
উপযুক্ত কাজের পরিবেশ:
অফিসে কাজের পরিবেশ যদি ঠিক থাকে,নিজস্ব ছন্দেই কাজ হবে। ভালো কাজের পরিবেশের জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়,বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক,সহযোগিতার মানসিকতা থাকা ভীষণ জরুরি। মাথায় রাখা দরকার,অফিসের কাজে ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং যোগ্যতা প্রয়োজন, তেমনই সম্পূর্ণ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হলে,তার প্রভাব সামগ্রিক কাজে পড়তে বাধ্য। তাই অফিসের কাজের পরিবেশ সঠিক রাখতে,সহকর্মীদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে একটু গল্প,হালকা রসিকতা,মজাও প্রয়োজন। এতে চাপ খানিক কমে।
মনঃসংযোগ:
ব্যক্তিগত সমস্যা বা চিন্তাভাবনা মাথায় চলতে থাকলে,কাজে মনঃসংযোগের অভাব হবে। স্বাভাবিক ভাবেই কাজে ভুল হওয়া,কাজের গতি কমে যাওয়া ইত্যাদি বিচ্যুতি হবেই। তাই প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে,ব্যক্তিগত সমস্যা কাজের জগতে যেন প্রভাব না ফেলে।মনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে,সকালে কিছুটা সময় ধ্যানের অভ্যাস বা প্রাণায়াম করতে পারেন। এতে শরীর ও মন দুই-ই ভালো থাকবে।
No comments:
Post a Comment