নর্দমায় ভাসছে সদ্যোজাত জোড়া ভ্রুণ! ক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত? সরব স্থানীয়রা
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া, ২২ সেপ্টেম্বর: পুরসভার অদূরে নর্দমায় উদ্ধার সদ্যোজাত জোড়া ভ্রুণ, স্থানীয় পলিক্লিনিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে সরব এলাকাবাসী। পুরসভার সামনের নর্দমা থেকে সদ্যোজাত জোড়া ভ্রুণ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরে।
আজ রবিবার সকালে এক মহিলাকে নর্দমায় বালতি করে কিছু ফেলতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় একজনের। এরপর তিনি সেই নর্দমার কাছে যেতেই দেখা যায় দুটি ভ্রুণ ভাসছে। স্থানীয়দের দাবী, স্থানীয় একটি পলিক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর পর ওই দুটি ভ্রুণ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনার পাশাপাশি অবিলম্বে ওই পলিক্লিনিক বন্ধের দাবী জানান স্থানীয়রা।
বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের পুরসভার অদূরেই রয়েছে একটি পলিক্লিনিক। অভিযোগ, পেশায় চিকিৎসক মানস মুখোপাধ্যায় ওরফে পাহাড়ী বাবু ওই পলিক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে গর্ভপাতের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। আজ সকালে স্থানীয়রা দেখেন পলিক্লিনিক থেকে চিকিৎসক পাহাড়ী বাবু বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে এক মহিলা বালতিতে করে কিছু নিয়ে পুরসভার সামনের নর্দমায় ফেলে আসেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির সন্দেহ হওয়ায় তিনি কাছে যেতেই দেখেন নর্দমার মধ্যে ২ টি সদ্যোজাত ভ্রুণ পড়ে রয়েছে। ওই ব্যক্তি বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আনলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরাই সোনামুখি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রুণ দুটি উদ্ধার করে সোনামুখী থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবী, পলিক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত করার পর ভ্রুণ দুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় স্থানীয়দের জোড়াজুড়ির মুখে পড়ে এক মহিলা স্বীকার করেছেন গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মৃত্যু হওয়ায় ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পলিক্লিনিকে গর্ভপাত করিয়ে মৃত ভ্রুণ নর্দমায় ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই পলিক্লিনিকে চিকিৎসার নামে এই বেআইনি ব্যবসা চলে আসছে। অবৈধ এই কারবারের অভিযোগ তুলে অবিলম্বে ওই পলিক্লিনিক বন্ধের দাবীতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মানস মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবী, তিনি এই কাজের সাথে কোনওভাবে যুক্ত নন। তাঁর আরও দাবী, ২০২৩ সাল থেকে ওই নার্সিংহোম ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে কী হয়েছে এর দায় তাঁর নয়।
No comments:
Post a Comment