'সিবিআইয়ের ভূমিকায় অখুশি, কাজে ফেরার সুপ্রিম নির্দেশে হতাশা'
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় অখুশি। নির্যাতিতার পরিবার যাতে দ্রুত বিচার পান, সেজন্য তেমন কোনও পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে করা হয়নি, এমনই অভিযোগ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বঙ্গ শাখা। এর পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরা নিয়ে শীর্ষ আদালত যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তাতেও হতাশা প্রকাশ করা হয়। আইএমএ বঙ্গ শাখার তরফে এই সংক্রান্ত প্রেস বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।
সেই বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, "আমরা আশা করছিলাম, আরজি করে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানি থেকে সদর্থক কোনও খবর মিলবে। তবে আমরা আদালত এবং সিবিআইয়ের কার্যক্রম দেখে সম্পূর্ণভাবে হতাশ। আমাদের সহকর্মীর দ্রুত বিচারের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আমরা জানতে পেরে আরও হতাশ যে, মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট এই প্রতিবাদের অগ্রদূত জুনিয়র ডাক্তারদের আগামীকাল বিকাল ৫ টার মধ্যে কাজে ফিরে যেতে বলেছেন।"
উল্লেখ্য, সোমবার আরজি কর কাণ্ডের শুনানির সময় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে যেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফেরেন। এর পাশাপাশি এদিন কোর্টে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যের কিছু হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চিকিৎসকদের কারণে। সেই সম্পর্কেও প্রেস রিলিজে জবাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, 'হাসপাতালগুলিতে কয়েকজনের মৃত্যুর জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের যেভাবে দায়ী দেখানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁদের আন্দোলনের কারণে কোনও হাসপাতালে পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়নি।'
তাঁদের তরফে আরও বলা হয়, "আমরা সকলেই জানি যে আমাদের জুনিয়র সহকর্মীরা অভয়ার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার চাইছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও লড়াই জারি রয়েছে, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে। সেই আন্দোলন জারি থাকবে।"
"আমরা দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, সিবিআই দ্রুত বিচারের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি। রাজ্য সরকারও এই স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করেনি", সংযোজন আইএমএ বঙ্গ শাখার।
এমতাবস্থায় আইএমএ জুনিয়র চিকিৎসকদের ভবিষ্যতের সমস্ত পদক্ষেপেও নিঃশর্ত ভাবে তাঁদের পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাঁদের তরফে বার্তা, 'সমগ্র চিকিৎসক সম্প্রদায় এবং সাধারণ মানুষের কাছে আইএমএ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রতিবাদ চলবে। আগামী দিনে তা আরও শক্তিশালী হবে। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে এই লড়াই।'
No comments:
Post a Comment