ইস্তফা দিলেন জহর সরকার, ধনখড়কে‌ সঁপলেন পদত্যাগপত্র - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 12 September 2024

ইস্তফা দিলেন জহর সরকার, ধনখড়কে‌ সঁপলেন পদত্যাগপত্র


ইস্তফা দিলেন জহর সরকার, ধনখড়কে‌ সঁপলেন পদত্যাগপত্র 



কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে একথা আগেই জানিয়েছিলেন জহর সরকার। সেইমতই এদিন বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করলেন জহর সরকার। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে লেখা চিঠিতে জহর সরকার বলেছেন যে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। অনুগ্রহ করে তাঁর পদত্যাগপত্র যেন স্বীকার করা হয়। 


উল্লেখ্য, গত রবিবারেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। এমনকি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। এরপর জানা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেন এবং তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জহর সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অনড়।


তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং এর থেকে ফেরা সম্ভব নয়। এর পরে, তিনি বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিল্লী পৌঁছান এবং বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়তে পদত্যাগপত্র জমা দেন।



উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে জহর সরকার লিখেছিলেন, "গত একমাস ধৈর্য্য ধরে আরজিকর হাসপাতালে ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি কেন আপনি সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।' 


নিজের পদত্যাগের বিষয়ে চিঠিতে জহর সরকার লেখেন, "অনেক চিন্তাভাবনার পর আমি স্থির করেছি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেব এবং রাজনীতি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করব। আমার কখনও কোনও দলীয় পদ বা অন্য কিছুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। আমি মোদী সরকারের স্বৈরাচারী, বিভেদমূলক বৈষম্যমূলক ও গণতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপ এবং নীতির স্বার্থহীন ও সুতীব্র সমালোচনা করতে পেরেছি এটাই আমার সন্তুষ্টির কারণ। কিন্তু সংহদে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর ২০২২ সালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর চূড়ান্ত দুর্নীতির খোলাখুলি প্রমাণ দেখে প্রকাশ্যে মতামত দিই যে, দল ও সরকারের এই ব্যাপারে অত্যন্ত সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। তখন দলের অনেক বর্ষিয়ান নেতা আমাকে হেনস্তা করেন। তখন আমি পদত্যাগ করা থেকে বিরত ছিলাম এই আশা নিয়ে যে, আপনি কাটমানি ও আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বছর আগে যে আন্দোলন আরম্ভ করেছিলেন, তা চালিয়ে যাবেন।"


তিনি আরও লিখেছিলেন, "আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম কিন্তু আমার রাজ্যে দুর্নীতি আর দলের একাংশের নেতাদের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত হলাম। দেখলাম রাজ্য সরকার সামলাতে পারছে না।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad