জেনে নিন কেন বায়ু-ত্যাগ গুরুত্বপূর্ণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 11 September 2024

জেনে নিন কেন বায়ু-ত্যাগ গুরুত্বপূর্ণ


জেনে নিন কেন বায়ু-ত্যাগ গুরুত্বপূর্ণ

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১১ সেপ্টেম্বর: বায়ু-ত্যাগ(Fart)শব্দটি শুনে অনেকেই হাসতে শুরু করেন, আবার কেউ কেউ অস্বস্তিতে পড়েন।কিন্তু আপনি কি জানেন যে ফার্টিং একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া?এটি বন্ধ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।আসুন জেনে নেই বায়ু-ত্যাগ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।

ফার্ট বন্ধ করা ক্ষতির কারণ হতে পারে -

ফার্ট একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা আপনার পেটে উৎপন্ন গ্যাসকে আপনার শরীর থেকে বের করে দেয়।এটি বন্ধ করলে পেটে গ্যাসের চাপ বাড়তে পারে,যাতে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা হতে পারে।ফার্টকে বের হতে দেওয়া উচিৎ,যাতে আপনার শরীর স্বস্তি পেতে পারে এবং পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

ফার্টে গন্ধ হয় কেন?

ফার্টিংয়ের পরে যে গন্ধ আসে তা আসলে আপনার খাওয়া এবং পান করার অভ্যাসের ফল।যেসব খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো পাকস্থলীতে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস তৈরি করে,যার গন্ধ পচা ডিমের মতো হয়।  অতএব,আপনি যদি সালফারযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন, তাহলে দুর্গন্ধযুক্ত ফার্ট হওয়া স্বাভাবিক।

কেন ফার্টিং গুরুত্বপূর্ণ?

মানুষের একটি ভুল ধারণা আছে যে ফার্টিং একটি খারাপ অভ্যাস।তবে এটি আসলে আপনার সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।ফার্টিং দেখায় যে আপনার পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে এবং আপনার শরীর সঠিকভাবে ফাইবার হজম করছে।ফার্টিং বন্ধ না করে এটিকে ইতিবাচক প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করা উচিৎ।

পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি সহজ ঘরোয়া উপায় -

লেবু: 

লেবুর রসে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  এটি গরম জলের সাথেও পান করা যেতে পারে।

গোলমরিচ: 

গোলমরিচ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং গ্যাস তৈরি হওয়া রোধ করে।এটি দুধের সাথে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।

হিং: 

এক গ্লাস গরম জলে হিং মিশিয়ে পান করলে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এটি দিনে তিনবার পান করলে গ্যাসের তীব্র সমস্যায়ও উপকার পাওয়া যায়।

বাটারমিল্ক ও ধনেপাতা: 

পেটের গ্যাসে কাঁচা ধনেপাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।  ভাজা ধনেপাতার সাথে বাটারমিল্ক মিশিয়ে পান করলেও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বাটারমিল্ক ও কালো লবণ: 

কালো লবণ ও জোয়ান মিশিয়ে বাটারমিল্ক পান করলেও গ্যাসের সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়।গ্যাস থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে এটি একটি কার্যকরী সমাধান।

দারুচিনি: 

দারুচিনি গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক।এটি জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সকালে খালি পেটে পান করুন।এতে মধু মিশিয়ে পান করা যায়।

রসুন: 

রসুন গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।জিরা ও ধনে দিয়ে রসুন সেদ্ধ করে এর ক্বাথ পান করলে উপকার পাওয়া যায়।এটি দিনে দুবার পান করা ভালো।

এলাচ ও আদা: 

দিনে দুই থেকে তিনবার এলাচ খেলে তা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা প্রতিরোধ করে।এছাড়া প্রতিদিন এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

পুদিনা: 

পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে খেলে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এছাড়া বাজারে পাওয়া পুদিনার জুস জলে মিশিয়েও পান করা যায়।

ডাবের জল: 

প্রতিদিন ডাবের জল পান করা গ্যাসের সমস্যায় উপকারী।  এছাড়া গরম জলে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাওয়া যায়।

ফার্ট বন্ধ করা ক্ষতির কারণ হতে পারে,তাই এটিকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবে গ্রহণ করুন।এর পাশাপাশি, আপনার যদি ঘন ঘন গ্যাসের সমস্যা থাকে তবে উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখুন।এই ব্যবস্থাগুলি আপনাকে স্বস্তি দেবে এবং আপনি সুস্থ বোধ করবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad