প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের। গরুকে রাজ্য মাতার মর্যাদা দিয়েছে একনাথ শিন্ডে সরকার। সরকার এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্বাচনের আগে এটি শিন্ডে সরকারের একটি বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের মতে, বৈদিক যুগ থেকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে দেশি গরুর স্থিতি, মানুষের খাদ্যে দেশি গরুর দুধের উপযোগিতা, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, পঞ্চগব্য চিকিৎসা পদ্ধতি এবং জৈব চাষ পদ্ধতিতে দেশি গোবর ও গোমূত্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের কথা মাথায় রেখে দেশি গরুকে এখন থেকে “রাজ্যমাতা গোমাতা” হিসেবে ঘোষণার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশি গরু পালনের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা ভর্তুকি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ গোশালাগুলো তাদের কম আয়ের কারণে খরচ বহন করতে পারে না। তাই তাদের শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রকল্পটি মহারাষ্ট্র গৌসেবা কমিশন অনলাইনে লাগু করবে। প্রতিটি জেলায় একটি জেলা গোশালা যাচাই কমিটি থাকবে। ২০১৯ সালের ২০ তম পশুগণনা অনুসারে, দেশী গরুর সংখ্যা ৪৬,১৩,৬৩২ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। ১৯তম গণনার তুলনায় এই সংখ্যা ২০.৬৯ শতাংশ কমেছে।
এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেন, "দেশি গরু আমাদের কৃষকদের জন্য একটি আশীর্বাদ, তাই আমরা তাকে এই মর্যাদা (রাজ্য মাতা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দেশি গোমাতার পুষ্টি ও চারার জন্য সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মে গরুকে মা মনে করা হয়। এছাড়াও, এই ধর্মে গরুর পূজা করা হয়। মান্যতা রয়েছে, দেব-দেবীরা গরুতে বাস করেন। এর পাশাপাশি, বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে গরুকে রাজ্য মাতার মর্যাদা দেওয়ার দাবী উঠে আসছে। আর এখন সরকার তাদের কথায় রাজি হয়ে মহারাষ্ট্রে গরুকে রাজ্য মাতার মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment