বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর দুর্নীতি! ক্ষোভ পড়ুয়াদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 5 September 2024

বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর দুর্নীতি! ক্ষোভ পড়ুয়াদের


 বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বর দুর্নীতি! ক্ষোভ পড়ুয়াদের 



নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৫ সেপ্টেম্বর: নম্বর গড়মিলের অভিযোগ উঠল বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বেশ কিছু বিষয়ে অনার্সের নম্বর আশানুরূপ হলেও পাস এবং ইলেকটিভ বিষয়ে উত্তীর্ণ হননি অনেকেই। ফাইনাল সেমিস্টারে অনুত্তীর্ণ বিষয়ের পরীক্ষা দিলেও আগের প্রাপ্ত নম্বর এসেছে এবারও। এমনকি হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশের খাতার নম্বরও বাড়েনি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়ারা রিভিউ করলেও একই নম্বর এসেছে তাঁদের। ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। 


তাঁদের দাবী, তাঁরা ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও ভর্তি হতে পারছেন না এই নম্বর গড়মিলের কারণে। বিপাকে পড়া পড়ুয়ারা বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন এবং ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ , বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সহযোগিতা করছেন না। 


যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবী করা হয়েছে, নম্বর বিভ্রাটের সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ম অনুযায়ী রিচেক ও রিভিউ করা হয়েছে। এখন উপায় একমাত্র আরটিআই করা, নয় তো আবার পরীক্ষায় বসা। পড়ুয়াদের দাবী, এই পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। তাতে করে উচ্চশিক্ষা ও কর্মের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের।


এই বিষয়ে বিকম অনার্সের ছাত্র আয়ুষ সামন্ত বলেন, 'আমার পঞ্চম সেমিস্টারে অ্যাকাউন্টেন্সিতে আমার সাপলি আছে ৩ নম্বরের জন্য। কলেজ থেকে ইনটারনালে আমি ২৫-এর মধ্যে ২৩ পেয়েছি। অথচ এখানে ৫০-এর মধ্যে আমাকে ৪ দেওয়া হয়েছে, জানি না কেন। টাকা দিয়ে দ্বিতীয় বার রিভিউ করালেও নম্বরের হেরফের হয়নি। যদিও ১-২ জনের নম্বর বেড়েছে।' 


ভূগোলে অনার্সের ছাত্রী রাই বিশ্বাস বলেন, 'তৃতীয় সেমিস্টারে পলিটিক্যাল সায়ন্সের পরীক্ষায় পাস করিনি। তারপর পঞ্চম সেমিস্টারে আবার পরীক্ষা দিই। কিন্তু সেবারেও পাশ করিনি এবং অদ্ভুত ভাবে দুটো নম্বরই এক। রিভিউ করালে এক নম্বর বাড়লেও পাশ করতে পারিনি। কলেজ থেকে স্পেশাল রিভিউ করাতে বলে, কিন্তু এরপরেও নম্বর বাড়ে বা কমেনি।' 


সামিম আখতার, জিওলজির ছাত্র বলেন, 'তৃতীয় সেমিস্টারে পরীক্ষায় একটি পেপারে প্রায় সবাই ১-২ নম্বর কম পায়। এমনকি পরের বছর ওই পরীক্ষা দিলেও একই নম্বর আসে এবং স্পেশাল রিভিউ বা চেকিংয়ের পরেও নম্বর বাড়েনা। ভিসির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান স্পেশাল চেকিং করতে দিয়েছেন।' পড়ুয়ারা সকলেই চাইছেন, গ্ৰেস নম্বর দিয়ে তাঁদের পাস করানো হোক।


এ প্রসঙ্গে উপাচার্য সৌরিন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রিঅ্যাসেসমেন্টের পরে শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে একবার দেখা করেছিল। তখন তারা এই সমস্যা সমাধানের দাবী করে এবং আমি তাঁদের রি-চেকিংয়ের কথা বলি, ব্যবস্থাও করে দিই। পরীক্ষার নম্বরে তারা খুশি হয়নি, তারা রিভিউ করার পরেও খুশি হয়নি। এখন রি-চেকিংয়ের পরেও খুশি নয় তাঁরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মে আছে আরটিআই করা, নিজের খাতাটি দেখা এবং দরকারে মামলা করে এই খাতার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা।"


তিনি আরও বলেন, "এটা তারা করতেই পারেন। কারণ আমার পক্ষে যতটা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করেছি।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad