ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদান, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 30 September 2024

ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদান, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী



নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।   নির্বাচকরা ভারতীয় চলচ্চিত্রে অতুলনীয় অবদানের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।   বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে মিঠুনের ক্যারিয়ার শুরু হয়।   প্রথম ছবি 'মৃগয়া'-তে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পান তিনি।


  

  মৃগয়ার পর উত্তর কলকাতার দাপুটের যুবক গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।   শীঘ্রই তিনি মুম্বাইয়ে একের পর এক কাজ পেতে শুরু করেন।   গৌরাঙ্গ হলেন মিঠুন।   হিন্দি, বাংলাসহ অনেক ভাষায় তার সাবলীলতা শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে।   মুম্বাইয়ের প্রথম জীবনের সংগ্রাম, ফুটপাতে রাত কাটানো থেকে শুরু করে সাফল্যের চূড়ায়।   তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ বর্তমানে বিজেপি নেতা।   মিঠুন তার ক্যারিয়ারে মোট ৩টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৯ সালে মিঠুনের ১৯টি ছবি একসঙ্গে মুক্তি পায়।   যা লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে রেকর্ড করা হয়েছে।   সেই রেকর্ড এখনও অটুট রয়েছে বলিউডে। 



৮০ দশকের গোড়ার দিকে, যখন অবাঙালি নায়করা বলিউডে রাজত্ব করছিলেন, মিঠুনের প্রথম ছবি ছিল রূপকথার মতো। ১৯৮২ সালে, মিঠুনের 'ডিস্কো ডান্সার' বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছিল।   সেই ছবি দিয়ে মিঠুনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে রাশিয়াতেও।   আজও রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় বলিউড ফিল্ম হল 'ডিস্কো ডান্সার'। ১৯৯০ সালে, তিনি অগ্নিপথের জন্য পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন।


  

  উত্তর কলকাতার বসন্ত কুমার চক্রবর্তী এবং শান্তিরানী চক্রবর্তীর ছেলে মিঠুন পুনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন।   ছাত্রাবস্থায় তিনি নকশাল আন্দোলনে যোগ দেন।   ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর পর তিনি নকশাল আন্দোলন ছেড়ে দেন।   মুম্বাই এসেছিলেন সিনেমায় ক্যারিয়ার গড়তে। ১৯৭৬ সালে, মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র 'মৃগয়া'-য় মিঠুন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।   


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad