মুরগিকে সাদা ডায়রিয়া রোগ থেকে বাঁচাতে করণীয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 11 September 2024

মুরগিকে সাদা ডায়রিয়া রোগ থেকে বাঁচাতে করণীয়



মুরগিকে সাদা ডায়রিয়া রোগ থেকে বাঁচাতে করণীয়



রিয়া ঘোষ, ১১ সেপ্টেম্বর : পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসা ভারতে খুব দ্রুত ক্রমবর্ধমান হচ্ছে এবং বেশিরভাগ খামারি খামারের পাশাপাশি পোল্ট্রি চাষ করতে পছন্দ করেন।  বাজারে সব সময়ই মুরগির ডিম ও মুরগির ভালো চাহিদা থাকে।  গ্রামীণ অর্থনীতিতে হাঁস-মুরগি পালনকে বিশেষ বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি অনেক লোকের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম।  কিন্তু অনেক সময় খামারি বা পোল্ট্রি খামারিদের মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।  বিশেষ করে মুরগির সাদা ডায়রিয়ার সমস্যা বেশি দেখা যায়।



 সাদা ডায়রিয়া রোগ প্রধানত ছানাদের হয়, যার কারণে বেশিরভাগ ছানা মারা যায়।  পরে এই রোগ মুরগির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।  এ রোগে আক্রান্ত ডিমের ভ্রূণ মারা যায়।  এ রোগে মুরগির মলের রং সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায় এবং মলত্যাগের সময়ও অনেক ব্যথা অনুভব করে।  অনেক সময় সাদা ডায়রিয়া রোগে কিছু মুরগি অন্ধ বা খোঁড়া হয়ে যায়।  ডায়রিয়ার কারণে মুরগি ও ছানার পেছনের অংশও আঠালো হয়ে যায়।



 সাদা ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা


 যে কোনও পশুচিকিৎসা দোকানে আপনি সহজেই সাদা ডায়রিয়ার ওষুধ পেতে পারেন।  মুরগি ও ছানাকেও তাদের ডোজ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।  আপনি যদি ৫টি মুরগি বা ২০টি ছানাকে ওষুধ দেন, তাহলে এক কাপ জলে ২ চিমটি ওষুধ গুলে নিন এবং অসুস্থ ছানাকে ২-২ ফোঁটা এবং একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে ৫-৫ ফোঁটা মুরগিকে পরপর তিন দিন দিন।  এতে করে ডোজ ওভারডোজ হয় না এবং তাদের উপশমও দ্রুত আসে।


 দ্রবীভূত এবং ঔষধ পরিচালনা


 আপনি আপনার মুরগি বা ছানাকে তাদের পানীয় জলে দ্রবীভূত করে সাদা ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ দিতে পারেন।  এই পদ্ধতিতে একটি বাটি জলে প্রায় ৪ চিমটি ওষুধ গুলে ৪০টি বাচ্চা বা ১০টি মুরগি মুরগির ঘরে রাখতে হবে।  মুরগির জলের পাত্রে এই ওষুধযুক্ত জলটি টানা ২ দিন রাখতে হবে।  এছাড়াও, আপনার ইচ্ছামতো আক্রান্ত ছানা বা মুরগিকে এই ওষুধযুক্ত জল খাওয়াতে হবে।  


 সাদা ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধ


 সাদা ডায়রিয়া রোগ থেকে মুরগি এবং ছানা রক্ষা করার জন্য, আপনার মুরগির ঘর এবং আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত।  এছাড়াও, মুরগি এবং ছানাদের ন্যূনতম পরিমাণে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার/লিক্সেন পাউডার/ফুরাসোল পাউডার খাওয়ালে এই বিপজ্জনক রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad