প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর: স্কুল অধ্যক্ষের লালসার শিকার ছয় বছর বয়সী শিশুকন্যা। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের দাহোদ জেলার। অভিযোগ, প্রথম শ্রণির ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই সময় বাধা দিলে পড়ুয়াকে গলা টিপে খুন করে তিনি। এরপর স্কুল চত্বরেই তার দেহ ফেলে দেন এবং তার স্কুল ব্যাগ ও জুতো শ্রেণিকক্ষের পাশে রেখে দেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্কুল অধ্যক্ষকে গ্ৰেফতার করেছে। ধৃতের নাম গোবিন্দ নট, বয়স ৫৫ বছর।
বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক রাজদীপ সিং ঝালা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয় বছর বয়সী শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয় তারই স্কুল পরিসরে। সেই সময় মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মামলা দায়ের করে এবং তদন্তের জন্য ১০ জনের একটি দল গঠন করে।
শিশুটির মা পুলিশকে জানায়, তাঁর মেয়ে প্রতিদিন স্কুল অধ্যক্ষ গোবিন্দ নটের সঙ্গে স্কুল যেত। পুলিশ যখন এই বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, শিশুটিকে স্কুলে রেখে কোনও কাজে বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ একথা মোটেও বিশ্বাস করেনি। এরপর যখন ঘটনার দিনের গোবিন্দ নটের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে, তখন জানা যায় ঐদিন তিনি দেরিতে স্কুলে পৌঁছেছিলেন। এরপর গোবিন্দ নটকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ভেঙে পড়েন এবং অপরাধ স্বীকার করে নেন।
পুলিশ আধিকারিক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০.২০ নাগাদ শিশুকন্যাটিকে তিনি তার ঘর থেকে তোলেন। তার মা তাকে গাড়িতে বসিয়ে দেয় কিন্তু সে স্কুলে পৌঁছায়নি। স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা একথা নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে জানা যায়, স্কুল যাওয়ার সময় রাস্তায় অধ্যক্ষ চলন্ত গাড়িতেই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে করে শিশুটি ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তখন তিনি চিৎকার থামাতে শিশুটির মুখ ও গলা টিপে ধরেন এবং এতে করে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তিনি জানান, এরপর অধ্যক্ষ স্কুল পৌঁছে নিজের গাড়িতেই শিশুকন্যার দেহ ফেলে লক করে দেয়। এরপর বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ স্কুল ভবনের পেছনে শিশুর দেহ ফেলে দেয় এবং জুতো-ব্যাগ তার শ্রেণিকক্ষের বাইরে রেখে দেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে গোবিন্দ নট নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন। পুলিশ তাকে গ্ৰেফতার করেছে এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment