সত্যিই কী পুরোনো ঘি-তে বেড়ে যায় প্রোটিনের মাত্রা?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৩ সেপ্টেম্বর: আমাদের দেশের ঐতিহ্যে দেশি ঘি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখে।এটি আয়ুর্বেদ এবং রান্নায় বিশেষভাবে প্রচলিত।শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যসচেতন তরুণদের জন্য খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইটেম।এর তাৎপর্য নিয়ে তরুণদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে।দেশি ঘি যত পুরোনো,তত বেশি উপকারী। কিন্তু পুরোনো দেশি ঘি কী সত্যিই এর পুষ্টির মাত্রা পরিবর্তন করে?সম্প্রতি আলোচনা হচ্ছে পুরনো দেশি ঘি-তে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ে।বিশেষজ্ঞরা বিশদভাবে বলেছেন যে এটি সত্য নাকি নিছক একটি মিথ।
পুরোনো ঘি-তে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার দাবি -
অনেকে বিশ্বাস করেন যে পুরোনো দেশি ঘি-তে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এটিকে আরও পুষ্টিকর করে তোলে।দেশি ঘি-কে আয়ুর্বেদে"পুরোনো ঘি"হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে পরিচিত।কিন্তু এর পুষ্টির মাত্রাও কী পরিবর্তিত হয়?
প্রোটিন এবং ঘি -এর মধ্যে সম্পর্ক -
প্রকৃতপক্ষে,ঘি-তে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম।কারণ এটি শুধুমাত্র বিশুদ্ধ চর্বি।দুধ থেকে মাখন তৈরি করে ঘি বানানোর প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ প্রোটিন এবং ল্যাকটোজ বের হয়ে যায়। তাই ঘি-এর প্রধান উপাদান ফ্যাট এবং প্রোটিন নয়।ঘি-এর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঔষধিগুণ এবং স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।কিন্তু এর প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ে না,কারণ ঘি একটি বিশুদ্ধ চর্বি এবং এতে প্রোটিন থাকে না।
বিশেষজ্ঞের মতামত কী?
ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে,বয়সভিত্তিক দেশি ঘি প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ায় এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।ঘি-এর পুষ্টি উপাদান,বিশেষ করে প্রোটিন উপাদান সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় না।কারণ ঘি-তে প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিন থাকে না।পুরোনো ঘি আয়ুর্বেদে তার ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এটি হজমের উন্নতিতে,প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।অনেক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় পুরোনো ঘি ব্যবহার করা হয়,কিন্তু প্রোটিনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
No comments:
Post a Comment