বিনীত গোয়েল সহ স্বাস্থ্য ভবনের ৩ আধিকারিককে সরানোর সিদ্ধান্ত, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক শেষ হয় রাত পৌনে ৯টায়। সেই বৈঠক শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘন্টা পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিচালকের পাশাপাশি ডিসি নর্থকেও বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব দাবী ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের।
আরজি কর কেলেঙ্কারির তদন্ত আর রাজ্যের এখতিয়ারের মধ্যে নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে তা চলে গেছে সিবিআইয়ের হাতে। তারপরে আবার, মমতা সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকারী হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের জুনিয়র ডাক্তারদের দাবীর সাথে একমত। ফলে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবীর মধ্যে তিন দফা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল।
প্রধান উদ্বেগ ছিল দুটি বিষয়ে। তা হল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এবং স্বাস্থ্য সচিব, ডিরেক্টর হেলথ সার্ভিসেস এবং ডিরেক্টর মেডিক্যাল এডুকেশনের পদগুলিতে যারা এখন রয়েছেন তাদের সরানো। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর ডাঃ কৌস্তভ নায়েক এবং ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস ডাঃ অজয় চক্রবর্তী। প্রধান কৌতূহল ছিল এই দুটি দাবীতে সরকার কী অবস্থান নেয়। সর্বোপরি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন যে সরকার তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য জুনিয়র চিকিৎসকদের বেশিরভাগ দাবী মেনে নিয়েছে।
রাত পোহালেই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হবে। ধীরে ধীরে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে মুখ্যমন্ত্রী সহ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে আগ্রহী। এর আগে শনিবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের জায়গায় পৌঁছেছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রী নই, দিদি হয়ে এসেছি।" আলোচনার মাধ্যমে দাবীগুলো সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। সোমবার বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরাও জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে কিছু দাবী এখনও পূরণ হয়নি।
No comments:
Post a Comment