'বক্তব্য শোনা হয়নি হাইকোর্টে', সুপ্রিম দরজায় সন্দীপ ঘোষ
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবীতে সরব হয়েছেন সকলেই। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে দুর্নীতির মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আগে হাইকোর্ট তাঁর বক্তব্য শোনেনি, এই মর্মে বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের পিটিশন দায়ের করেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালের ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ যুক্ত করে হাইকোর্টের মন্তব্য প্রত্যাহারেরও আবেদন করেন সন্দীপ।
জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে শুক্রবার এই আবেদনের শুনানি হতে পারে এদিন।
দীর্ঘ ১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগেই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ বলে জানা যায়। এরপর আলিপুরের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হলে, ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন তাঁকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় সন্দীপকে। মাঝে গত শনি-রবি বাদ দিয়ে সোমবার ফের তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্ধ্যায় সেখানে থেকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরেই তাঁদের তরফে জানানো হয় সন্দীপ ঘোষকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজন হলেন বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরা।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই ওই হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
এর পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগেরও তদন্ত করছে সিবিআই। সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই সূত্রে আরজি কর হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে সোমবার একসঙ্গে চারজন গ্রেফতার হন।
No comments:
Post a Comment