শিশুর বিকাশে ঘুমের ভূমিকা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 6 September 2024

শিশুর বিকাশে ঘুমের ভূমিকা


শিশুর বিকাশে ঘুমের ভূমিকা

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৬ সেপ্টেম্বর: শিশুদের বৃদ্ধির জন্য পুষ্টির প্রয়োজন।এর জন্য শিশুর খাবারে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।এর সাথেশিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা ঘুমের মাঝে জেগে উঠলে সে সারাদিন বিরক্ত থাকে।এক বছরের কম বয়সী শিশুরা মায়ের দুধ পান করতে অনীহা প্রকাশ করে।তাই, ডাক্তাররা ঘুমকে শিশুর শারীরিক,মানসিক এবং জ্ঞানীয় বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন।শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন ঘুম শিশুর বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।মাদার অ্যান্ড অ্যাঞ্জেল কেয়ার ক্লিনিকের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজিত কুমারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক,শিশুদের বৃদ্ধিতে ঘুমের গুরুত্ব কী।এছাড়াও,ঘুম শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা,শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণের উপর কী প্রভাব ফেলে।

শিশুদের বৃদ্ধির জন্য ঘুমের গুরুত্ব কী?

শিশুদের শরীরে বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি ঘুম মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যকারিতার জন্যও অপরিহার্য।শৈশবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ঘুমের সময়,শিশুর মস্তিষ্ক সমস্ত তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং সংরক্ষণ করে।এটি শিশুকে নতুন জিনিস শিখতে এবং পুরানো জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করে।উপরন্তু,ঘুম শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি,পেশী মেরামত করতে এবং মুড,ক্ষুধা ও শক্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এমন হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। 

মস্তিষ্কের বিকাশ -

শিশুদের ঘুমের সময় - বিশেষ করে গভীর ঘুমের সময় - মস্তিষ্ক এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়,যা জ্ঞানীয় মন এবং স্মৃতিশক্তির জন্য অপরিহার্য।শিশুরা অল্প বয়সে অনেক নতুন জিনিস শেখে,যার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। 

শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় -

শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য।গভীর ঘুমের সময় শিশুর বৃদ্ধির হরমোন নিঃসৃত হয়,যা শারীরিক বৃদ্ধি এবং টিস্যু ও পেশী মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।এটি বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত শিশুর বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ -

ঘুম শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।যে শিশুরা পর্যাপ্ত ঘুমায় তারা বেশি মানসিকভাবে স্থিতিস্থাপক, মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে ভালো এবং মুডের পরিবর্তন এবং খিটখিটে ভাব থেকে কম প্রভাবিত হয়।বিপরীতভাবে, ঘুমের অভাব উদ্বেগ,বিষণ্নতা এবং মানসিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

কোন বয়সের শিশুর কতটা ঘুমানো উচিৎ?

একটি নবজাতক শিশুর(০ থেকে ৩ মাস)প্রতিদিন প্রায় ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ।  

৪ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। 

১ থেকে ২ বছরের শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিৎ। 

৩ থেকে ৫ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। 

৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের দিনে ৯ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। 

বয়স্ক শিশুদের (১৪ থেকে ১৭ বছর) ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। 

পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।যার কারণে রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।  যেসব শিশু পর্যাপ্ত ঘুমায় না তাদের ফ্লু,সর্দি এবং অন্যান্য অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে।যদি আপনার শিশুর ঘুমের প্রতি অনীহা হয় বা সারাদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হয়,তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad