প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর : হঠাৎ যদি দেখেন যে ত্বকে কালকে ভাব পড়েছে অথবা কোনো একটি অংশ সাদা হয়ে যাচ্ছে। ত্বকের বর্ণের এই বৈষম্যকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় হাইপার পিগমেন্টেশন। এটিযে শুধু ত্বকের উপর দেখা যাবে তা নয়, শরীরের যে কোনো অঙ্গে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইপারপিগমেন্টেশন হলে আপনার আসল গায়ের রং পুরোপুরি বা আংশিক বা কোনো একটি জায়গায় রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ত্বকের এই হাইপার পিগমেন্টেশন হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।
ত্বকের এই রং পরিবর্তন এবং প্যাচ গুলোর জন্য বংশগত কারণও দায়ী হতে পারে। তাই জন্মের পরই অনেকের ত্বকে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ত্বকে নানা রকম সমস্যার জন্যও এই রোগ দেখা দিতে পারে।
এছাড়া শরীরে ভিটামিনের অভাবও ত্বকের এই হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী। শরীরে ভিটামিন এ ই সি এবং বি কমপ্লেক্সের মত প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবেও এই রোগ ছাড়া আরো অনেক রোগ দেখা যায়। এছাড়া পেটের সমস্যা ও লিভারে গন্ডগোল হলেও ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা যায়।
নারীদের গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন ঘটলেও এই হাইপারপিগমেন্টেশন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এই হাইপারপিগমেন্টেশনের আরো একটি সাধারণ কারণ গুলো সূর্যালোক। সূর্যালোকের কারণে আমাদের ত্বকে অত্যাধিক পরিমাণে মেলোনিন তৈরি হয়। এর ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। সাধারণ ভাষায় আমরা একটা ট্যান পড়া বলে থাকি। পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একাধিক উপায় রয়েছে।
লেবুর এসেন্সিয়াল অয়েল: লেবুর রস দিয়ে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করা যায়। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে লেবুর এসেন্সিয়াল অয়েল ত্বকের উপর লাগালে ধীরে ধীরে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর হবে।
টি ট্রি অয়েল: হাইপারপিগমেন্ট থেকে মুক্তি পেতে ত্বকে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা শুরু করুন। এর উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে দ্রুত স্বাভাবিক করতে কাজ করে। তার সঙ্গে এর আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্যও আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
হলুদের তেল: এটি একটি দেশীয় অ্যান্টিবায়োটিক যা ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্য - সবের জন্যই উপকারী। প্রতিদিন রাতে এই তেল ব্যবহার করুন। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা হলুদের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান। এতেই উপকার হবে।
তবে ত্বকে কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
No comments:
Post a Comment