"ভোটাভুটি চাই না", ধর্ষ-ণ বিরোধী বিলে পূর্ণ সমর্থন শুভেন্দুর
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৩ সেপ্টেম্বর, কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যালে ছাত্রী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রেক্ষাপটে রাজ্য সরকার আজ বিধানসভায় একটি ধর্ষণবিরোধী বিল পেশ করেছে। এই বিলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো ঘটনার অর্থাৎ ধর্ষণ ও খুনের মতো মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই নতুন বিলের নাম অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতায় যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, বাংলার ক্ষেত্রে, সেই আইনে কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে। বিলটি উত্থাপনের পর বিধানসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি এই বিলটিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন। তিনি কোনও ভোটাভুটি চান না।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বিলটিকে আইনে রূপান্তরের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এটাকে আইন করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর। আমরা চাই এই বিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনে পরিণত হোক। আমরা কোনও ধরণের বিরোধিতা করব না।' বিরোধী দলের নেতা আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যা বলবেন, বিনা প্রতিবাদে শুনব।'
পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনা নিয়ে সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, "সরকার এই বিল পেশ করে মূল ঘটনা থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। সরকার বিপুল জনরোষ ও বিক্ষোভ থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিলটি সিলেক্ট কমিটি না পাঠিয়ে এক্ষুনি শাস্তি চাই। আইনে পরিণত করতে বলব।"
তবে শুধু সমর্থন জানিয়েই থামেননি বিরোধী নেতা। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রিন্টআউটও প্রমাণ হিসেবে সামনে রাখা হয়। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে মেনে নেওয়া যায় না। তবে শুভেন্দু সত্যতা যাচাই করার কথা বলেন। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
সূত্র জানায়, দ্রুত বিচারের বিধানের পাশাপাশি বিলে প্রতিটি জেলায় বিশেষ আদালত ও দায়মুক্তি টাস্কফোর্স গঠনেরও বিধান রয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক এবং রাজ্য সরকার এই তদন্ত দলকে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে সমস্ত সহায়তা প্রদান করবে। বিলে বলা হয়েছে অভিযোগপত্র দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment