মহিলাদের অবশ্যই নিয়মিত করানো উচিৎ এই মেডিক্যাল পরীক্ষাগুলো
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১০ সেপ্টেম্বর: আমাদের পরিবর্তিত জীবনধারা এবং ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে ভুলে যাই।বিশেষ করে মহিলারা এই পরিবর্তিত পরিবেশে প্রায়ই তাদের স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করেন।কাজ,বাড়ি ও সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য সময় বের করতে পারেন না তারা।এমনকি যখন তারা অনেক শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন,আমরা তাদের উপেক্ষা করি।এমতাবস্থায় তারা নানা সমস্যায় ভোগেন।আজ আমরা জানব কেন মহিলাদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের নিয়মিত কী কী মেডিকেল পরীক্ষা করা উচিৎ।এই পরীক্ষার মাধ্যমে,আমরা সময়মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা শনাক্ত করতে পারি এবং তাদের চিকিৎসা করতে পারি,যাতে মহিলাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।আসুন জেনে নেই কোন কোন মেডিকেল টেস্ট যা বছরে একবার করতে হবে।
প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা -
জরায়ু ক্যান্সার শনাক্ত করতে এই পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষাটি ২১ বছর বয়স থেকে শুরু করা উচিৎ এবং তারপর এটি প্রতি ৩ বছর পর পর করা উচিৎ।এর সাহায্যে সময়মতো জরায়ুর ব্যাধি শনাক্ত করা যায়।এই পরীক্ষায় ডাক্তার জরায়ুর ভিতরে একটি ছোট যন্ত্র প্রবেশ করান এবং একটি সংবেদনশীল নমুনা নেন।এই নমুনাটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় এবং যদি কোনও পিণ্ড,প্রাকৃতিক পরিবর্তন বা লক্ষণ থাকে তবে ডাক্তার আরও তদন্ত এবং চিকিৎসার পরামর্শ দেন।এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের লক্ষণ শনাক্ত করা যায়।এছাড়াও সময়মতো সমস্যা শনাক্ত করা যায়।
স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং -
স্তন ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার এবং এর স্ক্রীনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এর মাধ্যমে সময়মতো পিণ্ড বা পরিবর্তন শনাক্ত করা যায় এবং চিকিৎসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।৪০ বছর বয়স থেকে প্রতি বছর ম্যামোগ্রাফি করা উচিৎ, যাতে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায়।৩০ বছর বয়স থেকে,আপনার প্রতি মাসে আপনার স্তন পরীক্ষা করা উচিৎ এবং আপনার ডাক্তারের কাছে কোনো পিণ্ড বা পরিবর্তনের রিপোর্ট করা উচিৎ।
থাইরয়েড পরীক্ষা -
মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি দেখা যায়,যা এই পরীক্ষার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।এর মাধ্যমে সময়মতো স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করা যায় এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করা যায়।
রক্তে শর্করার পরীক্ষা -
ব্লাড সুগার একটি মারাত্মক রোগ,যা আমাদের শরীরে গ্লুকোজের(সুগার)মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।এই রোগটি আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।যেমন- হৃদরোগ,কিডনির সমস্যা এবং চোখের সমস্যা।এজন্য ৪৫ বছর বয়স থেকে প্রতি ৩ বছর পর পর রক্তে শর্করার পরীক্ষা করাতে হবে,যাতে কোনও রোগ দেখা দিলে সময়মতো চিকিৎসা করা যায়।
রক্তচাপ পরীক্ষা -
উচ্চ রক্তচাপ একটি সাধারণ রোগ নয়।এটি আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে এবং স্ট্রোক ও কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।১৮ বছর বয়স থেকে প্রতি বছর রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিৎ,যাতে সময়মতো সমস্যা শনাক্ত করা যায়।রক্তচাপ পরীক্ষা হৃদরোগ,স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি শনাক্ত করতেও সাহায্য করে,যা উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে।
এই পাঁচটি মেডিক্যাল টেস্ট নিয়মিত করিয়ে মহিলারা তাদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে পারেন এবং সময়মতো কোনও সমস্যা ধরা পড়লে চিকিৎসার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।অতএব, স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত চেকআপ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ,বিশেষ করে মহিলাদের জন্য।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment