বাবা সিদ্দিকী খুন-কাণ্ডে পাক যোগ? সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল অস্ত্র! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 19 October 2024

বাবা সিদ্দিকী খুন-কাণ্ডে পাক যোগ? সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল অস্ত্র!


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ অক্টোবর: এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী খুনের তদন্তে বড় ক্লু পেল পুলিশ। দাবী করা হচ্ছে, বাব সিদ্দিকীকে গুলি করতে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা পাকিস্তান থেকে এসেছে‌। তদন্তে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পেরেছে যে, বাবা সিদ্দিকীকে যে পিস্তল দিয়ে খুন করা হয়েছিল তা রাজস্থান থেকে মুম্বাইতে আনা হয়েছিল। 


এই তথ্যের পর ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল রাজস্থানে পৌঁছায়। সেই দল সেখানে উপস্থিত রয়েছে এটা জানতে যে, রাজস্থানে এই ধরণের উন্নত অস্ত্র কোথা থেকে আসছে। সূত্রের দাবী, অনেক সময় সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে এ ধরণের অস্ত্র আনা হয় রাজস্থানে। বর্তমানে অস্ত্রের আসল উৎস খুঁজতে ব্যস্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চ।


মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান নেতা বাবা সিদ্দিকীকে ১২ অক্টোবর দশেরার রাতে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীর অফিসের কাছে গুলি চালানো হয়। সেখানে তিনজন হামলাকারী গুলি চালায়, যারা অটোতে করে এসেছিল। পালানোর সময় দুই হামলাকারীকে মুম্বাই পুলিশ ধরে ফেললেও, আরও একজন পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তদন্তে অনেক উদঘাটন হয়েছে এবং আরও অনেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


বাবা সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ্যে এসেছে। এছাড়াও ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।  

বলা হয়েছে, বাবা সিদ্দিকীকে খুনের রাতে তাঁর বিধায়ক ছেলে জিশান সিদ্দিকীকেও টার্গেট করা হয়েছিল। হামলাকারীদের বলা হয়েছিল দুজনকেই মারতে হবে কিন্তু যদি সুযোগ না মেলে, তাহলে যে সামনে আসবে তাঁর ওপর যেন গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি হামলাকারী অভিযুক্তদের একজনের ফোন থেকে জিশান সিদ্দিকীর একটি ছবিও পাওয়া গেছে।


ধৃত অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে যে, তারা এর জন্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পেতেন। তবে দাবী করা হয়েছিল এক কোটি টাকা। পাশাপাশি, অভিযুক্তরা এক মাস ধরে মুম্বইয়ের কুর্লাতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং বাবা-জিশান সিদ্দিকীর বাড়ি ও অফিসের রেইকি করতেন। এরপর দশেরার রাতে আতশবাজির শব্দে তারা গুলি চালায়, যার কারণে কিছু সময়ের জন্য মানুষ বুঝতেই পারেননি যে, কী হয়েছে। 


বাবা সিদ্দিকী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে তড়িঘড়ি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এখন তদন্তে নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। কেন বাবা সিদ্দিকীর নিরাপত্তা কর্মীরা হামলাকারীদের দিকে পাল্টা গুলি ছুঁড়লেন না বা বাবা সিদ্দিকীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না? এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad