প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ অক্টোবর : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নয়াদিল্লীতে তার হাইকমিশনারসহ পাঁচ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে। এর পাশাপাশি কূটনৈতিক সেবার পাশাপাশি দেশীয় প্রশাসনেও দ্বিতীয় ধাপে রদবদল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ রদবদলে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভারত, ব্রাসেলস, ক্যানবেরা, লিসবন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বাংলাদেশের দূতদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। সবাইকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করতে বলেছে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিদ্রোহের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, 'রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করা সরকারের সিদ্ধান্তের অংশ, যার অধীনে ভারতে আমাদের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। চারদিন আগে ঢাকায় ফিরছি।'
৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন একটি বৃহৎ অভ্যুত্থানের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কয়েক সপ্তাহ পর আগস্টের শেষের দিকে ফরেন সার্ভিসে একটি বড় পরিবর্তন দেখা যায়। এই বিদ্রোহের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সময় ঢাকা আমেরিকা, রাশিয়া, জার্মানি, জাপান ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এবং মালদ্বীপে নিযুক্ত তার হাইকমিশনারকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়।
এই রাষ্ট্রদূতদের অনেকেই ছিলেন প্রাক্তন কূটনীতিক বা অবসরপ্রাপ্ত এবং প্রশাসনিক ও সামরিক আধিকারিকদের চাকরিরত। যাদেরকে হাসিনা সরকার বিদেশে নিয়োগ দিয়েছে। এদিকে, দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশীয় প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে এবং অনেক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক ও উচ্চপদস্থ আমলাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে। প্রধান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানসহ অনেক পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জুলাই এবং আগস্টের শুরুতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় ছাত্র ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত সিনিয়র সচিব জাহাঙ্গীর আলম এবং বরখাস্ত পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment