প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ১২ অক্টোবর: চোখ দেহের সবচেয়ে স্বচ্ছ অঙ্গগুলোর একটি। চোখের সমস্যা আজকাল সব বয়সীদের মধ্যেই দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার রাতে চোখে দেখায় অসুবিধা হয়। রাতকানা না হলেও, রাতেরবেলা দিনের তুলনায় চোখে দেখতে বেশ কষ্ট হয়। কী খেলে রাতের বেলাতেও দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এমনকি যাদের রাতেরবেলা চোখে দেখার সমস্যা রয়েছে, তার সমাধানও নাকি লুকিয়ে রয়েছে এই সবজিতেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাজর খেলে সত্যিই রাতে চোখে দেখার সমস্যা দূর হয় কিনা।
গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এই উপকরণ মানবশরীরে গিয়ে ভিটামিন এ- তে রূপান্তরিত হয়। আর ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। বিশেষ করে কর্ণিয়ার সমস্যা, কিংবা রাতের বেলায় চোখে দেখতে পাওয়ার অসুবিধা সংক্রান্ত বিষয় দূর করতে কাজে লাগে ভিটামিন এ। আসলে ভিটামিন এ আলোকে স্থানান্তরিত করে সিগন্যালে যার ভিত্তিতে সাড়া দেয় আমাদের মস্তিষ্ক।
চোখে সমস্যা দূর করতে গাজর কতটা কার্যকরী:
তবে শুধু গাজর খেলেই কিন্তু আপনার দৃষ্টিশক্তি সাংঘাতিক প্রখর হয়ে যাবে না। কারণ চোখের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য গাজর নিঃসন্দেহে একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ। কিন্তু শুধুমাত্র গাজরই যাবতীয় চোখ এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারে না। এর জন্য দরকার আরও অনেক উপকরণ। তবে প্রতিদিন গাজর খেলে কী কী উপকার পাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস। এই উপকরণ বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সার রুখে দিতে সহায়তা করে।
২) গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই গাজর খেলে সহজে পেট ভরে এবং অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।
৩) গাজরের মধ্যে গ্লাইসেমিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম। তার ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে গাজর খেতে পারেন।
৪) ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে গাজরের মধ্যে। এই খাবার হাড়ের গঠন মজবুত করে। হাড় ক্ষয় হতে দেয় না।
৫) ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় গাজর খেলে পেট ভর্তি লাগে এবং এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৬) গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই উপকরণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে গাজর।
৭) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কাঁচা গাজর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।
৮) ব্লাড প্রেশার কমাতে গাজর সাহায্য করে।
৯) এছাড়াও গাজর খেয়াল রাখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের। হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও কমে।
১০) লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গাজর খেতে পারেন।
১১) অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে এই গাজর।
No comments:
Post a Comment