প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ১ নভেম্বর: তলপেট ও কোমরের যন্ত্রণা, হেভি-ফ্লো এসব ছাড়াও অনেক সময়েই মেন্সট্রুয়াল হাইজিনের দিকে নজর না থাকার কারণে অন্যান্য অনেক সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডের সময় অবশ্যই হাইজিনের প্রতি নজর দিতে হবে প্রতিটি নারীকে। তা না হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অনেক রোগও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
তাই খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলো:
আপনার সঙ্গে অবশ্যই এক্সট্রা স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখুন।
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্যাড বদল করা দরকার। প্যাড বদল করার সময় চেষ্টা করুন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুম ব্যবহার করার। অপরিষ্কার বাথরুমে গেলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আজকাল অনেকেই মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করেন। যদি কোনো নারী সেটা ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাহলে তিনি সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
যাদের পক্ষে শপিংমল ও ট্রেনে প্যাড চেঞ্জ করা সম্ভব তারা সেটাই করুন।
আপনি যদি কর্মরতা হন তাহলে নিজের কাজের জায়গার বাথরুম ব্যবহার করুন। এই সময় পাবলিক টয়লেট বা সুলভ শৌচালয় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনের খাতিরে একান্তই ব্যবহার করতে হলে সঙ্গে অবশ্যই রাখুন পি-সেফ। পিরিয়ডসের কয়েকটা দিন নিজের বাড়ির বাইরে কোনো বাথরুমে গেলেই পি-সেফ ব্যবহার করা উচিত।
পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের ইচ্ছামত পেনকিলার খাবেন না। এতে সাময়িকভাবে ব্যথা কমলেও পরবর্তীকালে অন্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি পেটে গরম সেঁক দিতে পারেন। অনেকের মতে বরফ সেঁক দিলেও যন্ত্রণা কমে।
অনেক নারীর ক্ষেত্রেই পিরিয়ডসের সময় ভীষণ মুড সুইং হয়। এক্ষেত্রে তারা সঙ্গে রাখুন চকলেট। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সমীক্ষায় দেখা গেছে মুড সুইং কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে চকলেট।
ভ্যাজাইনাল এরিয়া অর্থাৎ ভ্যাজাইনা এবং সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার রাখুন। পিরিয়ডের প্যাড বদল করার আগে সম্ভব হলে প্রতিবারই জল দিয়ে ভালো করে ভ্যাজাইনাল এলাকা ধুয়ে নিন। সম্ভব হলে ওয়াক্সিং করে রাখতে পারেন। এর ফলে ইচিং বা র্যাশ এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
এই সময় খাবার অনিয়ম না করাই ভালো। যা পছন্দ হয় তাই খান, তবে সঠিক সময়ে। কিন্তু খুব মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। তারফলে অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
No comments:
Post a Comment