প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ৩ অক্টোবর: চীনের একটি সমাধিস্থলে খননকাজ চলার সময় ৩৬০০ বছরের পুরনো একটি কফিন পাওয়া যায়। খোলার পর দেখা যায় এক তরুণীর মমি করা মরদেহ আছে সেটিতে।। তার গলা জুড়ে লেগেছিল এক ধরনের পদার্থ। কি ছিল সেই পদার্থ, তা শেষ পর্যন্ত জানা গেল ২১ বছর পর।
২০০৩ সালে চীনের জিনজিয়াংয়ের জিয়াওহে একটি সমাধিতে ওই খনন কাজ চালানো হয়েছিল। মমির গলার কাছে পাওয়া পদার্থগুলোকে বিজ্ঞানীরা তখন ভেবেছিলেন গয়না। তবে নমুনা পরীক্ষার পর সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওগুলো গয়না ছিল না, ছিল বহু বছরের পুরনো পনির।
বেইজিংয়ের গবেষক কিয়াওমেই ফু বলেন, সাধারণত পনির নরম হয়, এটা কিন্তু তেমন ছিল না। এটা ছিল একেবারে শুকনো ঘন এবং শক্ত।
কিয়াওমেই বলেন, জিয়াওহে সমাধিক্ষেত্রের তিনটি সমাধি থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তারা সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে কেফির দানা ব্যবহার করে গাঁজন করা দূর থেকে ওই পনির তৈরি করা হয়েছিল। এটি তৈরিতে গরু ও ছাগলের দুধ ব্যবহারেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা বলেন ব্রোঞ্জ যুগের মানুষরা কিভাবে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করত কেফির পনির ব্যবহার করার প্রবণতা থেকে সে ধারণা পাওয়া গেছে। পাস্তুরিতকরণ ও রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার শুরুর আগে জিয়াওহের মানুষেরা কিভাবে দুগ্ধজাত খাবার খেত সেটিরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় এটি থেকে। আরও জানা গেছে জিয়াওহের বাসিন্দারা জিনগতভাবেই দুগ্ধজাত খাবার সহ্য করতে পারতো না বলে মনে করা হয়ে থাকে। গবেষকের কাছে ওই পনির খাবার উপযুক্ত কিনা বা তিনি এটা চোখে দেখেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সে সুযোগ ছিল না।
No comments:
Post a Comment