প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৯ অক্টোবর : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা বলেছেন, ভারত যদি চুক্তির কোনও বিধান উল্লেখ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করে তাহলে তার দেশ কঠোর প্রতিবাদ জানাবে। বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুই দিন আগে (১৭ অক্টোবর) হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনা এবং অন্যান্য ৪৫ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়।
আসিফ নজরুল একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে জোর দিয়ে বলেন, যদি প্রত্যর্পণ চুক্তি সত্যিকার অর্থে অনুসরণ করা হয়, তাহলে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলেছে যে নিরাপত্তার কারণে তিনি তাদের দেশে রয়েছেন। নজরুল গত মাসে একটি সংবাদ মাধ্যমের ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন যে মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে এতে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবী জানাবে।
ঢাকা ট্রিবিউন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হুসাইনকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে কারণ আইসিটি তার এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এদিকে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া মানে একজন খুনি ও অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের আরও ভালো কূটনীতি ব্যবহার করতে হবে।
এ পর্যন্ত হাসিনা, তার আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতা, সাংবাদিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুম, হত্যা ও গণহত্যার ৬০টির বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment