কলকাতা: রাজ্য জুড়ে সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত সুরক্ষার দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই আবহেই সরকারি হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। কলকাতার এসএসকেএমে ভাংচুর ঘটনায় উত্তেজনা। উইকেট, হকি স্টিক নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। এতে রোগীর এক আত্মীয় জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে এক রোগীর আত্মীয়-পরিজন দলবল নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার তাণ্ডব চালায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বহিরাগত ১৫-১৬ জনের একটি দল হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে এসে আক্রমণ চালায়। দুষ্কৃতীদের হামলায় সৌরভ মোদক (রোগীর আত্মীয়) নামে একজনের মাথা ফাটে। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। তাঁর বাবাকে এদিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল, তাই তিনি এসেছিলেন এসএসকেএমে। তাঁকে বেধড়ক মারধরের পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় দলটি। কী কারণে এই গণ্ডগোল, এখনও সেসব স্পষ্ট নয়।
এদিকে ভাংচুরের এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। চিকিৎসকদের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও একপ্রকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবী নিয়ে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশনে বসেছেন। হাসপাতালের সুরক্ষা-সহ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা তাঁদের অন্যতম দাবী। দিন কয়েক আগেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সিসিটিভি বসানো সহ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ও হাসপাতালের সুরক্ষা বৃদ্ধিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এসবের মাঝে রাজ্যের এই স্বনামধন্য সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলেন, হাসপাতালে সুরক্ষার এই তো নমুনা। একদল লোক ঢুকে মারধর করে চলে গেল। পুলিশ কী করল? দাঁড়িয়ে দেখল!
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম যুবকের চিকিৎসা চলছে। অপরদিকে, এই হামলার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment