নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি, ২০ অক্টোবর: বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ রবিবার বারাণসী থেকে ভার্চুয়ালি এই কাজের শিলান্যাস করেন তিনি। এই উপলক্ষে শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, দার্জিলিং বিধায়ক নিরজ জিম্বা-সহ আরও অনেকে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ চিকেন নেক। চীন সীমান্ত এখান থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে। কাছেই নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ। এখানে বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।' শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'প্রায় ১০০ একর জমি দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চান সকলকে নিয়ে উন্নয়ন করতে।' এর পাশাপাশি, জমি দেওয়ার জন্য রাজ্যকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।
সাংসদের কথায়, 'বিমানবন্দরের সম্প্রসারণে এই এলাকার উন্নয়ন ঘটবে পর্যটন শিল্প বাণিজ্য নয়া দিশা পাবে রাজ্য সরকার জমি দিলে কেন্দ্র আরো প্রকল্প গড়বে।'
উল্লেখ্য, রবিবার দেশের বাকি ছয়টি বিমানবন্দরের সঙ্গেই বাগডোগরায় নতুন টার্মিনাল বা সিভিল এনক্লেভের কাজের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তিন হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। প্রায় ১০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা নিয়ে প্রথম পর্যায়ে টার্মিনাল তৈরি হবে। দুই বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের টার্মিনালের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যা শেষ হলেই দমদমের পর বাংলায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে উঠবে বাগডোগরা।
এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন এবং বাণিজ্য নতুন দিশা দেখবে। ঘণ্টায় তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন বিমানবন্দরে। তৈরি করা হবে আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য পৃথক রানওয়ে। থাকবে বিশেষ হেলিপ্যাড এবং বিমানবন্দর চত্বরে অত্যাধুনিক কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ১০১ একর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার এবং সেনাবাহিনী দিয়েছে ৫.৯৩ একর জমি। বাগডোগরা বিমানবন্দরটি ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে।
No comments:
Post a Comment