প্রদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা, ৫ অক্টোবর: প্রচন্ড গরমে শরীর ঘামবে এটাই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও ভিজে আবহাওয়া আমাদের ঘর্মাক্ত করে তোলে। অনেকের আবার অস্বাভাবিক ঘাম হয়, তা সে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন।
এছাড়া অনেকেই ঘামে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। অস্বাভাবিক ঘাম এবং ঘামে দুর্গন্ধের কারণে মানুষকে প্রায়ই অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। আর এই জন্য আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হয়।
শরীরে কোনও রোগ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ঘাম হলে বুঝবেন স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এই ঘামের সৃষ্টি। এছাড়া ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগের কারণেও ঘাম হতে পারে।
গরমে ত্বকের স্বস্তির জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিন্থেটিক কাপড় ত্বকের জন্য স্বচ্ছন্দ নয়। এটি আপনাকে শুধু অস্বস্তিতেই ফেলে না, আপনার শরীরকে আরো ঘর্মাক্ত করে তোলে। তাই এ সময় সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত।
গরমে প্রচুর জল পান করা দরকার। এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং শরীর থেকে ঘাম বের হতে বাধা দেয়। । তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল পান করুন এবং সব সময় সঙ্গে জলের বোতল রাখুন।
ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো জল খেতে পারেন। এক চা চামচ মেথি একগ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে, পরদিন সকালে উঠে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘাম সহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।
এছাড়া চন্দন বেটে নিয়ে শরীরের যে স্থানে বেশি ঘাম হয় সেখানে আধ ঘন্টার মত লাগিয়ে রাখলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা খানিকটা হলেও কমে আসবে।
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে চন্দন, আমলকির গুঁড়ো এবং গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আধ ঘণ্টার মতো সময় গায়ে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন।
এছাড়া রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েকটা কিসমিস জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল খেয়ে নিন, উপকার পাবেন।
খুব বেশি গরম খাবার খাবেন না। তিতো এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।
অতিরিক্ত ঝাল ও টক জাতীয় খাবার কম খাবেন। তার বদলে অল্প তেল মশলায় তৈরি খাবার খান।
No comments:
Post a Comment