প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ অক্টোবর: শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সব ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন।শিশু ঠিকমতো খাবার খাবে,তাহলেই শিশুরা সঠিক পুষ্টি পাবে।শিশুরা যদি সঠিকভাবে পর্যাপ্ত খাবার না খায়, তাহলে তা শুধু তাদের শরীরের বিকাশকেই বাধাগ্রস্ত করে না বরং তাদের চিন্তা করার ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে।কিন্তু শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো কোনও কঠিন কাজের চেয়ে কম নয়।বেশিরভাগ শিশু সবুজ শাক-সবজি,ডাল এবং দুধ দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয় এবং খেতে অস্বীকার করে।
আনন্দ কেয়ার ক্লিনিক,গোমতীনগর,লখনউ-এর শিশু বিশেষজ্ঞ ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ তরুণ আনন্দ বলেছেন যে,আরও অভিভাবকরা এই অভিযোগ নিয়ে তাঁর ক্লিনিকে আসেন যে তাদের সন্তানরা প্রায়শই খাবার খেতে অনীহা প্রকাশ করে।চিকিৎসকদের মতে,শিশুদের খাবার খেতে অস্বীকৃতি ক্ষুধার অভাব নয় বরং অন্য কিছু।আজ আমরা আপনাদের শিশুদের খাবার খেতে অস্বীকার করার প্রধান কারণগুলি বলতে যাচ্ছি।
কেন শিশুরা খাবার খেতে অস্বীকার করে?
ডাঃ তরুণের মতে,আজকের বাবা-মায়েরা খাবারের পাশাপাশি তাদের সন্তানদের অনেক ধরনের স্ন্যাক্স,যেমন- চিপস,নুডুলস, বাদাম,বীজ এবং কোল্ড ড্রিংক খেতে দেন।শিশু সকালের খাবার ঠিকমতো না খেলে বাবা-মা তাকে বাজারে পাওয়া চিপস,বিস্কুট ও সিরিয়াল খাওয়ান,যাতে কোনওভাবে তার পেট ভরে যায়।শিশুর পেট ভরানোর জন্য বাবা-মা তাকে একযোগে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি,চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট দিয়ে থাকেন, যা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।উচ্চ ক্যালরিযুক্ত চিপস, বিস্কুট এবং সিরিয়াল খাওয়ার কারণে জ্বর,গলা ব্যথা,পেট ব্যথা বা খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে শিশুরা ক্ষুধার্ত হয় না।
ডাঃ তরুন আনন্দ বলেন যে,কিছু শিশু সবসময় খেলা এবং লাফালাফি করতে ব্যস্ত থাকে।এই কারণে তাদের এক জায়গায় বসে খাবার খেতে ইচ্ছে করে না।আপনার শিশুও যদি খুব সক্রিয় হয় এবং সবসময় খেলায় মনোনিবেশ করে,তাহলে তাকে ঘুরিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।ধীরে ধীরে এই ধরনের শিশুদের এক জায়গায় বসে খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে তাদের পেট ভরে যায় এবং অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়।
অল্প অল্প করে খাওয়ানো -
ডাক্তাররা নতুন অভিভাবকদের পরামর্শ দেন যে,শিশু কখনই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো পেট ভরে খায় না।তাই সবসময় তার খাবারের অংশ ভাগ করে নিতে হয়।অতএব,আপনার শিশুকে একবার খাওয়ানোর পরিবর্তে,তাকে অল্প পরিমাণে বেশ কয়েকটি খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।এতে শিশুর ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সে পুষ্টিও পাবে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment