প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর : থুখা সময় মায়ের মন্দিরটি প্রায় ৩০০ বছর পুরানো বলে মনে করা হয় এবং এটি বস্তি জেলার কাটরা বুজুর্গ গ্রামের কাছে রাওয়াই নদীর তীরে অবস্থিত। স্থানীয় লোকেরা এটিকে একটি অলৌকিক স্থান হিসাবে বিবেচনা করে, যেখানে প্রতি মঙ্গলবার এবং বিশেষ উৎসবগুলিতে হাজার হাজার ভক্তরা দেবীকে দেখতে এবং পূজা করতে আসেন।
বিশ্বাস করা হয় যে ভক্তরা সত্যিকার অর্থে দেবীর দরবারে আসেন তাদের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হয়। একবার এক পায়ে পঙ্গু মহিলা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে আসেন মায়ের দরবারে। মায়ের কৃপায় সে নিজের পায়ে বাড়ি ফিরেছে। এখন সে নিয়মিত মন্দিরে পূজা দিতে আসে। এই ঘটনাটি মায়ের অলৌকিক শক্তির একটি জীবন্ত উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
প্রায় ৩৫-৪০ বছর আগে বন বিভাগ এই অনুর্বর জায়গাটিকে সবুজ করার চেষ্টা করেছিল এবং এখানে গাছ লাগিয়েছিল। এছাড়াও, মায়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছিল, যা ভক্তদের উপাসনালয়ে পরিণত হয়েছিল। এরপর এখানে একের পর এক মায়ের প্রতিমা স্থাপন করতে থাকেন ভক্তরা। আজ এখানে ৫০০ টিরও বেশি মূর্তি রয়েছে, যা প্রতিটি ভক্তের ইচ্ছা পূরণের প্রতীক।
মন্দিরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত রাওয়াই নদী কখনও মন্দিরের দিকে কোনও ভাঙন ঘটায়নি, যার কারণে গ্রামের কোনও ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় লোকেরা এটিকে দেবীর মহিমা বলে মনে করে এবং পুরো গ্রামের জন্য এটিকে মায়ের সুরক্ষা ঢাল বলে মনে করে। এই এলাকায় সবুজ, গাছপালা এবং পশু-পাখির উপস্থিতিও এই স্থানটিকে আরও পবিত্র করে তোলে।
প্রতি মঙ্গলবার থুখা সময় মায়ের মন্দিরে ভক্তদের ভিড় থাকলেও নবরাত্রির সময় এখানে বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয়। কানপুর, লক্ষ্ণৌ, গোন্ডা, বাহরাইচ, বলরামপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভক্ত এখানে মাতার দর্শন ও পূজার জন্য আসেন। মায়ের এই পবিত্র স্থানটি ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু এবং অলৌকিক ঘটনার জন্য দূর-দূরান্তে বিখ্যাত।
No comments:
Post a Comment