একটি বিপজ্জনক ভাইরাল রোগ লাসা জ্বর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 6 November 2024

একটি বিপজ্জনক ভাইরাল রোগ লাসা জ্বর


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৬ নভেম্বর: সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকায় লাসা জ্বরের একটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল,যাতে একজন মারা যায়।লোকটি আইওয়া সিটির ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া হেলথ কেয়ার মেডিক্যাল সেন্টারে আইসোলেসন-এ ছিল এবং ২৯ অক্টোবর বিকেলে মারা যায়।লাসা জ্বর পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে সবচেয়ে সাধারণ একটি গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ।আসুন আজ বিস্তারিতভাবে এটি সম্পর্কে জানি।

লাসা জ্বর কী?

লাসা জ্বর একটি বিপজ্জনক ভাইরাল রোগ,যা "লাসা ভাইরাস" দ্বারা ছড়ায়।এই ভাইরাসটি "Mastomyces natalensis" নামে একটি বিশেষ ধরনের ইঁদুরের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।এই ইঁদুরগুলি বেশিরভাগই নাইজেরিয়া,গিনি, ঘানা এবং সিয়েরা লিওনের মতো পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে পাওয়া যায়।এই রোগের প্রথম কেস নাইজেরিয়ায় ১৯৬৯ সালে পাওয়া গিয়েছিল এবং এর নামও সেখান থেকেই নেওয়া হয়েছিল।

লাসা জ্বর কতটা বিপজ্জনক?

লাসা জ্বর সাধারণত সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১% মৃত্যুর হারের সাথে দেখা দেয়,তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এই হার ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।এই রোগটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে,যেখানে ভ্রূণ এবং মায়ের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লাসা জ্বরের লক্ষণ -

লাসা জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ হল সাধারণ জ্বর,দুর্বলতা এবং ক্লান্তি।কিন্তু কিছু দিন পরে,এই লক্ষণগুলি আরও গুরুতর হতে পারে,যেমন:

মাথা ব্যাথা,গলা ব্যাথা,পেশী ব্যাথা,বুকে ব্যাথা,বমি,ডায়রিয়া, কাশি,পেট ব্যাথা।

আরও গুরুতর ক্ষেত্রে রোগীর মুখ ফুলে যাওয়া,ফুসফুসে তরল জমা হওয়া,নাক ও মুখ থেকে রক্তপাতের মতো উপসর্গও থাকতে পারে।কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন রক্তচাপও হতে পারে।  

এই রোগের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৬ থেকে ২১ দিনের মধ্যে থাকে এবং মারাত্মক ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে।

লাসা জ্বরের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ -

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে,বর্তমানে এই রোগের কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন এবং কিছু নতুন সম্ভাব্য চিকিৎসা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad