জানেন কি কেন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার বয়স? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 14 November 2024

জানেন কি কেন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার বয়স?


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৪ নভেম্বর: পিরিয়ড প্রতিটি মহিলার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।মাসিক চক্রের কারণে মহিলাদের প্রতি ২০ থেকে ২৫ দিনে মাসিক হয়।হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পিরিয়ডের সময় যোনিপথে রক্তপাত হয়।আজকাল সার্চ ইঞ্জিন সাইটগুলিতে,পিরিয়ড হওয়ার সঠিক বয়স কী,পিরিয়ড হওয়ার সঠিক বয়স কী,পিরিয়ড তাড়াতাড়ি আসে কেন, পিরিয়ড কীভাবে আসে, প্রথমবার পিরিয়ড হলে কতটা রক্তক্ষরণ হয় - এরকম প্রশ্নের উত্তর অনেক খোঁজা হচ্ছে।এটা ঘটছে কারণ আজকাল অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে মারাত্মক শারীরিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।মাত্র ৬ বছর বয়সে মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হচ্ছে আজকাল।

মেয়েদের পিরিয়ড আসার সময় হরমোন,শরীরের গঠন এবং জিনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।তাই এর সঠিক বয়স নির্ণয় করা যায় না।কিন্তু চিকিৎসকদের মতে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে ১০ জন মেয়ের মধ্যে ৮ জন প্রথমবারের মতো মাসিক হয়।কিন্তু আজকাল ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী মেয়েদেরও পিরিয়ড হতে শুরু করেছে।

মাসিকের লক্ষণ কী?

মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার আগেই শরীর তাদের সংকেত দিতে শুরু করে।এটা বোঝা খুব সহজ।যোনিপথে লোম, পায়ে এবং আন্ডারআর্মের লোম,এর প্রাথমিক লক্ষণ।এছাড়াও,যেসব মেয়েদের মাসিক হতে চলেছে,তাদের পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেই যোনি থেকে ছোট ছোট রক্ত ​​জমাট বাঁধতে শুরু করে।

এই লক্ষণগুলি পিরিয়ডের আগে দেখা দেয় -

পিঠ এবং কোমর ব্যথা।

বুকে ব্যথা।

খুব ক্লান্ত লাগা।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা।

প্রথম পিরিয়ডের সময় কত রক্ত ​​বের হয়?

অনেক মহিলার মনে এই প্রশ্নটি আসে যে যখন কোনও মেয়ের প্রথমবার পিরিয়ড হয়,তখন কতটা রক্তক্ষরণ হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রথম পিরিয়ডে খুব সামান্য রক্তপাত হয়।  লাল এবং বাদামী রক্তের দাগ দেখা যায়।প্রথম ঋতুতে ৬ চামচের সমান রক্ত ​​বের হয়।

৬ থেকে ৯ বছর বয়সে কেন পিরিয়ড হয়?

আজকাল মেয়েদের ৬ থেকে ৯ বছর বয়সে পিরিয়ড হচ্ছে।  বয়ঃসন্ধির কারণে এমনটা হচ্ছে।শিশুদের মধ্যে দ্রুত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণে মেয়েরা তাদের বয়সের চেয়ে বড় দেখাতে শুরু করেছে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা -

হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পিরিয়ড তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে।কোনোভাবে শরীরে কীটনাশক প্রবেশ করা,স্থূলতা, মোবাইল,টিভির অতিরিক্ত ব্যবহার ইত্যাদি কারণে এমনটি হচ্ছে।এছাড়া কিছু জেনেটিক ব্যাধিও এর জন্য দায়ী।  প্রক্রিয়াজাত খাবার,জাঙ্ক ফুড,কোল্ড ড্রিংকস অতিরিক্ত গ্রহণের কারণেও শরীরে এসব পরিবর্তন ঘটছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad