প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১২ নভেম্বর: ট্রাইগ্লিসারাইড অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে তা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।এমতাবস্থায় এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। আজ আমরা বলব রক্তে কতটা ট্রাইগ্লিসারাইড স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়।
ট্রাইগ্লিসারাইড হল এক ধরনের চর্বি,যা আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি ট্রাইগ্লিসারাইড আকারে জমা হয়।এই চর্বি আমাদের রক্তে পাওয়া যায় এবং শরীরের শক্তির প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হয়।তবে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে ট্রাইগ্লিসারাইডের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিউ দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রিভেনটিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডাঃ সোনিয়া রাওয়াত বলেছেন যে,ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের শরীরে পাওয়া চর্বি।রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ১৫০ mg/dL বা তার কম হওয়া উচিৎ।এই স্তরটিকে সাধারণ পরিসর বলা হয়।যদি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ১৫০ থেকে ১৯৯ mg/dL-এর মধ্যে হয়, তাহলে এটিকে সীমারেখা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।২০০ থেকে ৪৯৯ mg/dL-এর মধ্যে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা একটি বিপদ সংকেত।যদি এর মাত্রা ৫০০ mg/dL-এর উপরে চলে যায়, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। কারণ এই স্তরটি হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে,এটি মারাত্মক হতে পারে।
এটা থেকে কী কী রোগ হতে পারে?
ডাঃ রাওয়াত বলেন,ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড হৃদরোগ,স্ট্রোক এবং প্যানক্রিয়াটাইটিস অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডগুলি প্রায়শই উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার সাথে যুক্ত।এমন পরিস্থিতিতে,যদি আপনার ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়,তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং নিজেকে পরীক্ষা করুন।রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
কোন উপায়ে ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই চর্বি কমানো যায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলে ফাস্ট ফুড,মিষ্টি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।পরিবর্তে,তাজা ফল এবং শাক-সবজি খান।আপনি যদি ধূমপান করেন বা অ্যালকোহল পান করেন তবে এটিও আপনার ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।এমতাবস্থায় এই দুটি জিনিস থেকে দূরে থাকাই ভালো।কিছু ওষুধও এটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।তবে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সময়মতো খেতে হবে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment