প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড- দুই রাজ্যই দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিগত চারটি বিধানসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে এটি স্পষ্ট যে, এই রাজ্যগুলিতে কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এই পরিস্থিতি জোট ও আঞ্চলিক দলগুলোকে নির্ধারক শক্তিতে পরিণত করেছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট ২৮৮টি আসন রয়েছে। গত চারটি নির্বাচনের তথ্যের ভিত্তিতে, বিজেপি ও শিবসেনা (এসএইচএস) জোটের রাজ্যে প্রভাব রয়েছে। তবে এই দুই দলেরই সব সময় সহযোগীদের দরকার পড়েছে।
২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ১০৫টি আসন জিতেছে, যেখানে শিবসেনা ৫৬টি আসন জিতেছে। কংগ্রেস (আইএনসি) এবং এনসিপি যথাক্রমে ৪৪ এবং ৫৪ আসনে এগিয়ে। কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি এবং শিবসেনা পরে বিরোধীদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ১২২টি আসন পেয়েছিল, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে ছিল। শিবসেনা ৬৩টি আসন জেতে, যেখানে কংগ্রেস এবং এনসিপি যথাক্রমে ৪২ এবং ৪১টি আসন জিতেছিল। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একটি শক্তিশালী দল ছিল। কংগ্রেস তখন ৮২টি এবং এনসিপি ৬২টি আসন জিতেছিল৷ বিজেপি এবং শিবসেনার ছিল যথাক্রমে ৪৬ এবং ৪৪টি আসন৷
অপরদিকে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়ও কোনও দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে, জেএমএম ৩০টি আসন লাভ করেছে, যেখানে বিজেপি ২৫টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৬টি আসন। ২০১৪ সালে, বিজেপি ৩৭টি আসন জিতেছিল কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। জেএমএম এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ১৯ এবং ৬ টি আসন জিতেছিল। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, জেএমএম ১৮টি আসন জিতেছিল, বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল এবং কংগ্রেস ১৪টি আসন জিতেছিল। এখানেও জোটের সহায়তায় সরকার গঠন হয়।
দুই রাজ্যেই গত চারটি নির্বাচনে এটা স্পষ্ট যে জোট ছাড়া সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। উভয় রাজ্যেতেই আঞ্চলিক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিবসেনা এবং জেএমএমের মতো আঞ্চলিক দলগুলি গত নির্বাচনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে। এবারও মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড উভয় স্থানেই কোনও দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। জোটের রাজনীতি ও আঞ্চলিক দলগুলো আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এক্সিট পোলের হিসেব থেকে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে, ২৩ নভেম্বরই জানা যাবে, জয়ের হাসি কে হাসতে চলেছে।
এক্সিট পোলের "পোল অফ পোলস" তথ্য অনুসারে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি+ ১৩৯-১৫৬ আসনের মধ্যে লিড পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস+ জোট ১১৯-১৩৬ আসনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। অন্যান্য দল ১১-১৬ আসন পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৪৫টি আসন প্রয়োজন, তবে বিজেপি+ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে, বিজেপি+ ৩৮-৪৩ আসনের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস+ জোট ৩৪-৪১ আসনে পৌঁছতে পারে। অন্য দলগুলোর ২-৪টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা ৪১টি আসন এবং এখানেও দুটি বড় জোটের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় দেখা যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment